অর্পিতার ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভা আসনে ২৯ নভেম্বর উপনির্বাচন

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাতারাতি রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন অর্পিতা ঘোষ। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তখন অর্পিতা জানিয়েছিলেন দলের হয়ে বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করতে চান। তার জন্য কোনও পদের প্রয়োজন নেই। তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনেই আগামী ২৯ নভেম্বর উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। রবিবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র ও কেরলে একটি করে রাজ্যসভার আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেইসঙ্গে অর্পিতার আসনে তৃণমূলের প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য অর্পিতা পদত্যাগ করার কয়েকদিন বাদেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। আর সম্প্রতি তিনি সাংসদ পদ ছেড়েছেন। তবে তাঁকেই কি রাজ্যসভায় পাঠানো হবে, নাকি সুস্মিতা দেবকে যেভাবে রাজ্যসভায় পাঠানো হয়েছে সেভাবে অন্য রাজ্যের কোনও সাংগঠনিক শক্তিধর নেতাকে টিকিট দেওয়া হবে? এই বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সেক্ষেত্রে তৃণমূলে যোগ দেওয়া গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফেলেইরো এবং উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলাপতি ত্রিপাঠীর নাতি রাজেশপতি ত্রিপাঠী ও তাঁর ছেলে ললিতেশ পতির নাম নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে কমিশন জানিয়েছে, আগামী ৯ তারিখ নির্দেশিকা জারি করা হবে। তারপরেই শুরু হয়ে যাবে মনোনয়ন পর্ব। ১৬ নভেম্বর শেষ হয়ে যাবে মনোনয়ন। ১৭ নভেম্বর হবে স্ক্রুটিনি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ নভেম্বর। রাজ্যসভা ভোটের যাবতীয় কাজকর্ম শেষ করতে হবে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে। পশ্চিমবঙ্গে শুধু একটি আসনে ২৯ নভেম্বর ভোট। সেই দিন বিকেলেই গণনা। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ১৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন। এবারের রাজ্যসভা ভোটে তৃণমূল ছাড়া আর কোনও দলের প্রার্থী দেওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই অর্পিতার আসনে তৃণমূল প্রার্থীর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে এই আসনে নাট্যকার অর্পিতাকে রাজ্যসভায় পাঠান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে বালুরঘাট লোকসভা থেকে প্রথমবার সাংসদ হয়েছিলেন অর্পিতা। উনিশের লোকসভা ভোটে বালুরঘাটে বর্তমান বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে পরাজিত হলে, ২০২০ সালে তাঁকে রাজ্যসভার পাঠান মমতা।