আসানসোলে ডেঙ্গু মোকাবিলায় পুর এলাকায় সচেতনতার প্রচারে আরও জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত

শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোল: করোনা ভাইরাসের সঙ্গে চলে এসেছে ডেঙ্গু। সেই ডেঙ্গুর প্রকোপ আটকাতে পুরনিগমের ১০৬টি ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার প্রচারে আরও জোর দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিল আসানসোল পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকালে এক বৈঠকের পরে একথা জানান আসানসোল পুরনিগমের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি।
পুরভবনে মেয়রের চেম্বারে হওয়া এই বৈঠকে আসানসোল পুরনিগমের পুরকমিশনার খুরশিদ আলি কাদরি, দুই মেয়র পারিষদ ( স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন) দিব্যেন্দু ভগৎ ও লক্ষ্মণ ঠাকুর ছাড়াও ছিলেন স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন দফতরের আধিকারিক ও আসানসোল পুরনিগমের সবকটি বোরোর চেয়ারম্যানরা। সেই বৈঠকে ডেঙ্গুর মোকাবিলায় কি কি করতে হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। ডেঙ্গু মোকাবিলায় কি করতে হবে সেই ব্যাপারে বোরো চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্য এবং স্যানিটেশন দফতরের আধিকারিকদের বেশ কিছু পরামর্শ ও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: যেন বাস্তবের ক্যাপ্টেন মার্ভেল! ভেতরে গরম, বিমানের ডানায় চড়ে বসলেন মহিলা, তারপর..
বৈঠকের পরে মেয়র বলেন, বুধবার রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করা হয়। তিনি আমাদের বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। এদিন সেই সংক্রান্ত একটি বৈঠক করা হয়েছে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় আগামী দুমাস সচেতনতার প্রচারে আরও জোর দেওয়া হবে। বোরো চেয়ারম্যান ও মেয়র পারিষদরা এলাকায় এলাকায় যাবেন। তারা কাজের পর্যালোচনা করবেন। ডোর টু ডোর গিয়ে সমীক্ষা করতে হবে। তার রিপোর্ট সময়ে সময়ে জমা দিতে হবে।
মেয়র আরও বলেন, গত বছর মার্চ মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত আসানসোল পুরনিগম এলাকায় ডেঙ্গুর ৮০টি কেস ছিল। এই বছর এখনও পর্যন্ত মাত্র ১টা কেস পাওয়া গেছে। এটাই আমরা ধরে রাখতে চাই। গত কয়েক মাসে স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন বিভাগ খুব ভালো কাজ করেছে। আমার আশা, আগামী দুমাস ধরে সেই কাজের ধারা বজায় রেখে চলতে হবে। আমাদের লক্ষ্য পুর এলাকার বাসিন্দাদের সুস্থ রাখা।