
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার আতঙ্কের মধ্যেই বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে অসমের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভয়াবহ আকার ধারণ করেছ ব্রহ্মপুত্র-সহ সমস্ত নদনদীগুলি। এর ফলে ইতিমধ্যেই ২১টি জেলার ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বুধবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বন্যার কারণে মৃত্যু হয়েছে আরও ৬ জনের। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে। অসম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বন্যার কারণে বরপেটাতে তিন জন আর ধুবরি, নওগাঁও ও নলবাড়ি জেলায় একজন করে মোট তিন জন প্রাণ হারিয়েছে। পাশাপাশি ১৫ হাজার মানুষ নতুন করে গৃহহারা হয়ে ১০৯টি সরকারি শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।
রাজ্যের ৩৩টি জেলার মধ্যে বন্যা কবলিত মোট ২৫টি। জল ঢুকেছে তিন হাজার গ্রামে। বন্যার আশংকায় ঘর ছেড়েছেন বহু মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ধেমাজি, লক্ষ্মীপুর, বিশ্বনাথ, উদালগুড়ি, দারাং, লনবাড়ি, বরপেটা, কোকরাঝাড়, ধুবড়ি, নগাঁও, গোলাঘাট, জোরহাট, মাজুলি, শিবাসাগর, ডিব্রুগড়, বনগাইগাঁও, দক্ষিণ সালমারা, গোলপারা, কামরূপ, মরিগাঁও, হজাই, পশ্চিম করবি আংলং ও তিনসুকিয়া জেলার। ব্রহ্মপুত্রের জল ক্রমশ বাড়ছে কয়েকদিন ধরেই গুয়াহাটিতে তা বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির কোনও লক্ষণ এখনই নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (ASDMA)-এর তরফে একটি বুলেটিন প্রকাশ করা হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র বিভিন্ন জায়গায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এর ফলে ৫৯টি রাজস্ব বিভাগের অন্তর্গত ২ হাজার ১৯৭টি গ্রামের ১৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩২১ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এর মাঝেই বৃষ্টি কম হওয়ায় গুয়াহাটিতে ব্রহ্মপুত্রের জল কিছুটা কমেছে। মঙ্গলবার যেখানে ৫০.০৬ মিটার উচ্চতায় জল বইছিল বুধবার তা কমে ৪৯.৮৭ মিটার হয়। আগামী চার-পাঁচদিনে বৃষ্টির পরিমাণ আরও কমে গেলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।