ভারতী ঘোষের বাইক র্যালিকে ঘিরে ধুন্ধুমার, আহত একাধিক কর্মী

মিলন পণ্ডা, ভূপতিনগর (পূর্ব মেদিনীপুর): বিজেপি নেএী ভারতী ঘোষের রোড শো আটকানো ও কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল শাসক দলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনা পুলিশের সামনে ঘটেছে কিন্তু পুলিশ কোন সহযোগিতা করেননি বলে বিজেপি কর্মীরদের অভিযোগ। মারধরের ফলে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী গুরুতর জখম হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত বিজেপি কর্মীদের উদ্ধার করে মুগবেড়িয়া ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে শাসকদল। তাদের দাবি দলের বেশ কয়েকজন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন।
বিজেপির অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগর গাজীপুরে বিজেপি কর্মী গোকুল জানা কয়েকদিন আগে তৃণমূল কর্মীদের হাতে খুন হন।এর প্রতিবাদে হেঁড়িয়া থেকে উদবাদল পর্যন্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকরা একটি বাইক র্যালি করেন। এই র্যালিতে গাড়িতে ছিলেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ। অভিযোগ বাইক র্যালি চলাকালীন বেশ কয়েকবার তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতী কারীরা বন্ধ করার জন্য বাইরে থেকে ইঁট ছুঁড়তে থাকে। শুধু তাই নয় রাস্তার উপর কাঠের গুড়ি ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা কাঠের গুড়ি সরিয়ে বাইক র্যালি করতে করতে এগিয়ে যায়। এরপরেই ভূপতিনগরের এক্তারপুরে কাছে এলে হামলার চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তখনই বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর অতর্কিতে লাঠি দিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। হামলার ফলে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী গুরুতর জখম হন। এরপর বিজেপি কর্মীরা ছুটে এলে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতিকারীরা সেখান থেকে চম্পট দেয়। পুরো ঘটনা পুলিশের সামনে ঘটে বলে বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ।
সবকিছু উপেক্ষা করেই হেঁড়িয়া থেকে উদবাদল পর্যন্ত বিজেপি বাইক র্যালি সম্পূর্ণ করে বিজেপি কর্মী সমর্থক। বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ বলেন, “তিনবার ধরে আমাদের বাইক র্যালি আটকানোর চেষ্টা করল। কোথাও রাস্তার উপর কাঠের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে দেয়। এইভাবে আমাদের আটকানো যাবে না। সন্ত্রাস দিয়ে বিজেপিকে রুখে দেওয়া যাবে না”।
কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার দলাই বলেন “তৃণমূলের খুন ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে হেঁড়িয়া থেকে উদবাদল পর্ষন্ত একটি বাইক র্যালি ছিল। ভূপতিনগরের এক্তারপুরে কাছে বিজেপি কর্মী লক্ষ করে হামলার চালায় ও বাইক ভাঙচুর করে। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে”।
কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক নবীন প্রধান বলেন “নির্মম ভাবে গণতন্ত্র অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। অতীতেও এলাকায় গিয়ে আক্রান্ত হয়ে ছিলাম। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল। উল্টো পুলিশ মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল”।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক কনিস্ক পণ্ডা বলেন “বিজেপি এটা নিজস্ব গন্ডগোল।আর সেই গণ্ডগোল ধামাচাপা দিতে উল্টো তৃনমূল দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর চালায়। তৃণমূল কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ প্রশাসনের কাছ দ্বারস্থ হয়েছি। এই ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্ত চাই”। তা না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন। যদিও এ বিষয়ে ভুপতিনগর থানার পুলিশের কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।