ঔরঙ্গজেব ভেঙেছিল কাশী বিশ্বনাথ মন্দির! পুরাণ, ঋকবেদেও উল্লেখ রয়েছে মন্দিরের

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: কাশী বিশ্বনাথ মন্দির নিয়ে আরও এক তথ্য সামনে এল। ঔরঙ্গজেব ভেঙেছিল কাশী বিশ্বনাথ মন্দির। সম্প্রতি এই তথ্য সামনে এসেছে। স্কন্দ পুরাণ, ঋকবেদেও কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের স্থান রয়েছে। রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন হওয়ার পর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এবার ওই একই মডেলে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের সমাধানের দাবি উঠতে শুরু হয়েছে। কাশিতে একদিকে যেমন রয়েছে কাশী জ্ঞানব্যাপী মসজিদ। অন্যদিকে কাশি বিশ্বনাথ মন্দিরও রয়েছে। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের মূল অংশ ভেঙে মসজিদ বানানোর অভিযোগ রয়েছে।
আভিযোগ এই যে, ঔরঙ্গজেব এই মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করেছিলেন। জানা যায় যে, ১৬৬৯ সালে আওরঙ্গজেব এই মন্দির আক্রমন করেন। মন্দির আক্রমণ করার পর ভাঙচুর চালান তিনি। মূল মন্দিরের স্থানে মসজিদ বানানো হয় বলে অভিযোগ। ঔরঙ্গজেব ভারতে হিন্দু ধর্মকে বিলুপ্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। তাই তিনি হিন্দুদের এই পবিত্র এই কাশী মন্দিরের মূল অংশ ভেঙে মসজিদ বানিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। মন্দির ভাঙার বহু বছর পর আবার হিন্দুরা মূল মন্দিরের পাশে বিশ্বনাথ মন্দির নির্মাণ করেন। জানা গিয়েছে যে, ১৯৩৬ সালে ওয়াক বোর্ড নতুন মন্দিরের এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করেছিল। যদিও সেই দাবি মিথ্যা প্রমানিত হয়। সেই আদেশপত্র কলকাতা এশিয়াটিক লাইব্রেরীতে রয়েছে বলে দাবি করা হয়।
হিন্দুদের পবিত্র সপ্তপুরীর মধ্যে কাশীকেও ধরা হয়। স্কন্দপুরান, মহাভারত, রামায়ণ, ঋকবেদ সহ নানা প্রাচীন গ্রন্থে এই নগরীর উল্লেখ রয়েছে। বিশ্বের প্রাচীনতম শহর এই কাশী। আমেরিকান লেখক মার্ক টুইন লিখেছেন যে, হিন্দুদের পবিত্র স্থান কাশী ইতিহাসের থেকেও প্রাচীন এবং বিশ্বের সমস্ত সভ্যতার থেকেও প্রাচীন। পুরাণ থেকে জানা যায় যে, ভগবান শিব কাশী নগর স্থাপন করেছিলেন।
সম্প্রতি, কাশী ও মথুরা ইস্যু আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মথুরা আদালতে একটি সিভিল মামলা দায়ের করেছে হিন্দু সংগঠন। ওই আবেদনে ১৩.৩৭ একর কৃষ্ণ জন্মভূমির মালিকানা চাওয়া হয়েছে।