fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

স্বৈরাচারী শাসন চলছে, তোপ দাগলেন দিলীপ

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। পুলিশের মারে নিহত এক বিজেপি কর্মী উলেন রায়। এই মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গে ১২ ঘণ্টার বনধের ঘোষণা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর তোপ স্বৈরাচারী শাসন চলছে। এদিন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে তিনি বলেন, ‘ পুলিশের অত্যাচারেই আমাদের কর্মীদের উলেন রায়ের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের দলের বহু কর্মী আহত হয়েছেন।’ মেদিনীপুরের সাংসদ আরও বলেন, ‘ আগে থেকে ঘোষণা করে এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন দলীয় কর্মীরা। তাঁদের উপর নির্মমভাবে লাঠি চালিয়েছে পুলিশ।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, এদিন সকালে তাঁকে স্টেশন থেকে গেস্ট হাউস পর্যন্ত যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ আমি স্টেশন থেকে নেমে গেস্ট হাউস পর্যন্ত যেতে বাধা পেয়েছি। জানি না এখানে কী ধরনের গণতন্ত্র রয়েছে। স্বৈরাচারী শাসন, পুরো শহরকে ব্যারিকেড করে শহর ঘিরে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সাংসদ জন বার্লাকেও আটকে দেওয়া হয়েছে।’ এই প্রসঙ্গেই তিনি বিমল গুরুঙ ইস্যুতে তোপ লাগেন। তিনি বলেন, ‘ যে লোকটাকে এতোদিন দেশদ্রোহী বলা হতো তাঁকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে এসে জনসভা করানো হলো। আর আমরা গণতন্ত্র রক্ষার জন্য লড়ছি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছি, তাই আমাদের আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে।’

বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘ পুলিশের অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে আমাদের কর্মীদের উলেন রায়ের। আমাদের বহু কর্মী আহত হয়েছেন।’ এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় বলেন, ‘ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ণ পর্ষদকে কতো টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার? শ্বেতপত্র প্রকাশ করার দাবি করছি।’ পুলিশি বাধা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘ এ রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। বিরোধীদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। একুশে জনতার দরবারে বিচার হবে।’ সদ্য দলে যোগ দেওয়া মিহির গোস্বামী বলেন, ‘ গণতন্ত্রকে এভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টাকে ধিক্কার জানাই। বিরোধীদের দাবি শুনতে চায় না সরকার। তাই এভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’ একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ উন্নয়নের প্রশ্নে উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত থেকেছে।’

আরও পড়ুন: শীঘ্রই সেনাবাহিনীতে যুক্ত হবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হাউইৎজার… ভোকাল ফর লোকাল

বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা টুইট করেছেন, ‘ আমরা লজ্জিত আমরা পশ্চিমবঙ্গে বাস করি।আমরা লজ্জিত আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গণতান্ত্রিক দেশে, গণতান্ত্রিক রাজ্যে, গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করার জন্য প্রাণ দিতে হলো আমাদের পরিবারের এক সদস্যকে। তৃণমূল পরিচালিত পুলিশের হাতে খুন হওয়ার জন্য রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হওয়া উচিত।’ দার্জিলিংয়ের সাংসদ ও দলের জাতীয় মুখপাত্র রাজু সিং বিস্ত বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘ তৃণমূল ভয় পেয়েছে যার জেরে পুলিশ ও তৃণমূলের গুণ্ডাদের আদেশ দেওয়া হয় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অত্যাচার করতে, ফলস্বরূপ আমাদের সদস্য উলেন রায়ের মৃত্যু হলো, শতাধিক কর্মী আহত। দোষীদের বিচার চাই।’

Related Articles

Back to top button
Close