‘বাংলার লজ্জা মমতা’ সামাজিক মাধ্যমে তোপ বাবুল, দেবশ্রী, মুকুল, কৈলাসের

শরণানন্দ দাস, কলকাতা: একুশের লড়াইয়ের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোণঠাসা করতে কোন ত্রুটি রাখছে না গেরুয়া শিবির। করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বাড়ায় রাজ্যের বিজেপি নেতা কর্মীরা সামাজিক মাধ্যমকেই হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছেন। ‘ আর নয় অন্যায়ের’ মতোই এবার বিজেপি যে প্রচারাভিযানে নেমেছে তার ট্যাগলাইন ‘বাংলার লজ্জা মমতা’। টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন জনবিরোধী নীতিকে তুলে ধরা এই অভিযানের লক্ষ্য।
শুক্রবার যেমন কেন্দ্রীয় বন পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় টুইটেে লিখেছেন, ‘ বাংলার ৭০ লাখ কৃষক লাভবান হতো যদি তৃণমূল সরকার রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি যোজনা চালু করতো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের রাজনৈতিক স্বার্থকে সামনে রেখে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করেছেন।’
রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় টুইটে লিখেছেন, ‘ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। আম্ফান, করোনা বা পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাপারে যখন কেন্দ্র সহযোগিতা করতে চেয়েছে তৃণমূল বাধা দিয়েছে। মমতা দিদি সবসময় রাজনীতি করা ভালো নয়।’
কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে টুইটে লিখেছেন, ‘ নিখোঁজ নারী ও শিশুর সংখ্যার নিরিখে সারাদেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয়। আর ২০১৮- ১৯ আর্থিক বছরে শিশুশ্রমিক সবচেয়ে বেশি এই রাজ্যে। এই আমাদের ‘ এগিয়ে বাংলার’ কৃতিত্ব মমতা দিদি।’
রাজ্যের সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন টুইটের লিখেছেন, ‘করোনা অতিমারি সংক্রমণের ফলে বাংলার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। রাজ্যের আর্থিক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন পরিকল্পনাই নেই।’
আর মুকুল রায় টুইট করে লিখেছেন, ‘ স্বাস্থ্য, নারী সুরক্ষা, শিক্ষা, শিল্প, উন্নয়ন সবেতেই ফেল মমতা সরকার। আর ভালোভাবে পাশ করেছে সিণ্ডকেট, দুর্নীতি আর রাজনৈতিক হিংসায়।’
একুশের আগে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে এই ধরনের প্রচার আরও বাড়ানো বিজেপির লক্ষ্য। প্রথম ভার্চুয়াল জনসভা করে চমক দিয়েছিল তারা। সূত্রের খবর, এবার একুশের যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বিজেপির আইটি সেল।