কেরলের নির্বাচনে প্রথম মহিলা মুসলিম প্রার্থী দিয়ে বাজিমাত বিজেপির

তিরুবন্তপুরম: কেরলের নির্বাচনী ইতিহাসে এই প্রথমবার। নির্বাচনে দুই মুসলিম মহিলাকে টিকিট দিল বিজেপি। নজিরবিহীন এই ঘটনায় হতবাক সে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। কেরলের মলপ্পুরম জেলায় আসন্ন স্থানীয় নির্বাচনে সকলকে পিছনে ফেলে টিকিটের দৌড়ে নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেলছেন টি পি সুলফৎ ও আয়শা হুসেন। মলপ্পুরম ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। সেখানে বিজেপির প্রার্থী দেওয়া, তাও আবার মহিলা প্রার্থীর বিষয়টি অনেককেই অবাক করেছে। বিজেপির এহেন ইয়র্কারে সিঁদূরে মেঘ দেখছে মুসলিম লিগও।
মলপ্পুরমের ওয়ান্দুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নং ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেম টি পি সুলফৎ। আর পোনামুদম গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯ নং ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আয়শা হুসেন। সুলফতের বক্তব্য, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের একাধিক জনমুখী উন্নয়নমূলক নীতি তাঁকে বিজেপিতে যোগ দিতে উৎসাহী করেছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুসলিম মহিলাদের উন্নয়নে যে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতেও তিনি বিজেপির প্রতি কৃতজ্ঞ বলে জানান। অন্যদিনে, আয়েশার স্বামী একজন বিজেপিকর্মী। স্বামীর পথে হেঁটেই তিনি বিজেপির কর্মযজ্ঞ শামিল হয়েছেন বলে জানান।
দুই সন্তানে মা সুলফৎ জানালেন, ‘তিন তালাক বাতিল নিয়ে মোদি সরকারের সাহসী পদক্ষেপ কীভাবে দেশের লক্ষ লক্ষ মুসলিম মহিলাদের জীবনে পরিবর্তনের ঢেউ নিয়ে এসেছে’। ১৫ বছর বয়সে বিয়ে করে স্বামীর ঘর করতে আসা সুলফতের কথায়, ‘মুসলিম মহিলাদের উন্নয়নে মোদি যা করেছেন তা নিঃসন্দেহে তারিফযোগ্য। উনি তিন তালাক বাতিল করেছেন। মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার কথা চিন্তাভাবনা করছেন’। বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয়ে মোদি সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকেই তিনি এগিয়ে নিয়ে যেতে চান বলে জানালেন সুলফৎ।
একই সুর শোনা গেল আয়েশার গলাতেও। আয়েশার স্বামীর কেরল বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সক্রিয় কর্মী। তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম এবং মুসলিম মহিলাদের অগ্রগতির জন্য কেন্দ্র সরকার আজ পর্যন্ত যে যে পদক্ষেপ করেছে, বিজেপির টিকিটে জিতে তিনি তা এগিয়ে নিয়ে যেতে চান বলে জানালেন এক মেয়ের মা আয়েশা।
আরও পড়ুন: CBI তদন্তে নয়া মোড়! এনামুল ও লালার কালো টাকা কীভাবে বৈধ করতেন গোবিন্দ?
ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিমি লিগের ঘাঁটি মলপ্পুরমের বিজেপির টিকিটে জিতা আসা কঠিন হলেও জয়ের ব্যাপারে মোটামুটি আত্মবিশ্বাসী সুলফত-আয়শা। মুসলিম মহিলাদের ভাগ্যাকাশে পরিবর্তনই তাই এবার নির্বাচনেও পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে মনে করছে কেরল বিজেপি।