fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

বালুরঘাটে ৩০ মিনিটের ব্যবধানে একই ব্যক্তির দুরকম করোনা রিপোর্ট, চাঞ্চল্য

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট: জ্বরের উপসর্গ নিয়ে করোনা পরীক্ষায় একই ব্যক্তির ত্রিশ মিনিটের ব্যবধানে দু’রকম রিপোর্ট আসায় চাঞ্চল্য বালুরঘাটে। প্রথমে নেগেটিভ আসার মাত্র ত্রিশ মিনিট পরেই ফের পজিটিভ রিপোর্ট দেওয়া হয়। যা নিয়ে রীতিমতো বিভ্রান্তিতে পড়েছেন পেশায় বেসরকারি ব‍্যাঙ্ক কর্মী প্রনয় বিশ্বাস। ঘটনা নিয়ে চিন্তিত প্রনয়বাবু পরিবারের লোকেরাও। এই ঘটনায় স্বাস্থ্য দপ্তরের উদাসীনতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন ওই পরিবার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই রিপোর্ট তুলে ধরে ব্যাঙ্ক কর্মীর উদ্বিগ্ন ভরা পোস্টকে ঘিরে অনেকেই ক্ষোভ উগড়েছেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষুদিরাম মোড় এলাকার বাসিন্দা প্রণয় বিশ্বাস। শহরে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে কর্মরত রয়েছেন তিনি। পরিবারে স্ত্রী সহ ৭ মাসের এক পুত্র সন্তান, মা-বাবা ও ভাই’কে নিয়ে সংসার তার। পরিবারের সকলের সুরক্ষার জন্য সামান্য জ্বর হলেও গত ২৪ তারিখে নিজের সোয়াব টেস্ট করেন প্রনয়বাবু। বুধবার মালদা থেকে তার রিপোর্টে আসে নেগেটিভ। যার পর কিছুটা আনন্দেই পরিবারের সকলের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করেন তিনি।

অভিযোগ, তারপর ঠিক ত্রিশ মিনিট পরেই মালদা থেকে আবারও একটি রিপোর্ট তাকে পাঠানো হয়। যে রিপোর্টে তাকে পজিটিভ দেখানো হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে পাঠানো একটি রিপোর্ট নেগেটিভ এবং আরেকটি পজিটিভ পাবার পরেই বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েন ওই পরিবার। বিষয়টি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন অনেকেই।

ব্যাঙ্ক কর্মী প্রণয় বিশ্বাস এবং তার স্ত্রী শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস জানিয়েছেন, সকলের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যেখানে সামান্য জ্বর হতেই করোনা টেস্ট করিয়েছেন। রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় সকলের সঙ্গে মেলামেশা হয়। যার পর ফের রিপোর্ট পজিটিভ আশায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল তা নিয়েই যেন তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের উদাসীনতার কারনেই এমনটা ঘটেছে।

জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে অবশ্য জানিয়েছেন, মালদা থেকে কিছু রিপোর্ট ভুল এসেছিল। বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে মন্তব্য করবেন তিনি।

Related Articles

Back to top button
Close