বনধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হাওড়া গ্রামীণ জেলায়

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ লকডাউন পেরিয়ে নিউ নর্মালে মানুষের সাভাবিক কর্মজীবনে ফেরার মাঝেই বৃহস্পতিবার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ডাকা বনধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিল হাওড়া গ্রামীণ জেলায়।

কয়েকটি জায়গায় দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন জায়গায় অল্প সংখ্যক যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে এদিন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
তবে মাঝে মধ্যেই বনধ সমর্থনকারীদের অবরোধের ফলে যানবাহন চলাচলে কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছে। তবে এদিন জেলার শিল্প তালুকে কল কারখানা খোলা থাকলেও হাজির ছিল অনেকটাই কম। বনধ সমর্থনকারীদের দাবি বৃহস্পতিবার তাদের ডাকা বনধ সবার্থক হয়েছে।
১৬টি শ্রমিক সংগঠনের ডাকা বনধ সফল করতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছিল বনধ সমর্থনকারীরা।এদিন সকালে বনধ সমর্থনকারীরা উলুবেড়িয়া শহরে মিছিল করার পাশাপাশি গরুহাটা ষ্টেশন রোড মোড় অবরোধ করে পরে তারা উলুবেড়িয়া পশ্চিম কেবিনের সামনে লোকাল ট্রেন আটকে অবরোধ শুরু করে।
এদিনের এই রেল অবরোধের ফলে বিভিন্ন ষ্টেশনে আটকে পড়ে ট্রেন। প্রায় আধঘন্টা রেল অবরোধ চলার পর পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। এদিন রেল অবরোধ চলাকালীন পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে একাধিকবার বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন বনধ সমর্থনকারীরা।
অন্যদিকে এদিন রেল অবরোধ ওঠার পরেই বনধ সমর্থনকারীরা ১৬ নং জাতীয় সড়কে উলুবেড়িয়া নিমদীঘি মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। এখানে ও আধখন্টা পথ অবরোধ চলার পর পুলিশ অবরোধকারীদের হটিয়ে যান চলাচল স্বাবাভিক করে। এদিন উলুবেড়িয়ার পাশাপাশি বীরশিবপুরেও রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বনধ সমর্থনকারীরা।
অপরদিকে এদিন অন্যান্য দিনের মত টোটো অটো ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করলেও সংখ্যায় অনেকটা কম ছিল। উলুবেড়িয়া শহরে অধিকাংশ দোকান পাট বন্ধ থাকলেও উলুবেড়িয়া ষ্টেশন রোডে দোকান পাট বাজার খোলা ছিল। এদিন বীরশিবপুর, বাউড়িয়া, আমতা, সাকরাইলের শিল্প তালুকে হাজিরা ছিল অনেকটাই কম।
এদিন হুগলী নদীতেও লঞ্চ ও ফেরি পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল তবে যাত্রী সংখ্যা কম হওয়ায় লঞ্চ ছাড়ার সময়ের ব্যবধান এদিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে এদিন বনধ চলাকালীন বিভিন্ন জায়গায় বল প্রয়োগের অভিযোগ উঠল বনধ সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে। গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়ার পাশাপাশি জোর করে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ও উঠল বনধ সমর্থনকারীদের মধ্যে।
যদিও বল প্রয়োগের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বনধ সমর্থনকারীরা। সিপিআইএম নেতা সাবির উদ্দিন মোল্লার বক্তব্য বৃহস্পতিবারের বনধ সর্বাথক হয়েছে। মানুষের সহযোগিতায় শান্তিপূনভাবে বনধ পালিত হয়েছে।
যদিও মানুষ এই বনধে সাড়া দেয়নি বলে দাবি করেন উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক ইদ্রিস আলি। তিনি বলেন দীঘ লকডাউনের পর মানুষ আবার কর্মনাশা বনধে সাড়া না দেওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় বনধ সমর্থনকারীদের বল প্রয়োগ করতে হয়েছে।