হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় অনড়, কাজে যোগ ‘না’ আইনজীবিদের
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী ১১ জুন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এজলাসে হাজির হয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাইকোর্ট প্রশাসন। তার বিরোধিতা করে আগামী ১১ তারিখ থেকে কাজে যোগ দিচ্ছেন না আইনজীবীরা।
হাইকোর্টের বৃহত্তর আইনজীবীদের সংগঠন বার এসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ জুন হাইকোর্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে এজলাসে হাজির হয়ে স্বাভাবিক শুনানির যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল তাতে আইনজীবিদের সুরক্ষার ব্যাবস্থা যথাযথ করা হয় নি মনে করে গত ৭ জুন আইনজীবীরা একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল। সেখানে বেশিরভাগ আইনজীবীদের মতামত আদালতের বিজ্ঞপ্তিতে যা উল্লেখ আছে তাতে আইনজীবীদের সুরক্ষার জন্য যথযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই মত প্রকাশ করেছেন বেশিরভাগ আইনজীবী।
এদিন হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক ঢন্ঢনিয়া জানান, কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের সংগঠন যৌথ ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী ১১ জুন থেকে আদালতে হাজির হয়ে শুনানিতে উপস্থিত থাকবে না। কারণ হিসেবে তিনি জানান, হাইকোর্টের মূল ভবনের তিনটি গেট খোলা রেখে কাজ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকোর্ট। বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন কোর্ট রুমের মধ্যে থাকতে পারবেন মাত্র ৮ জন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কোর্ট রুমের মধ্যে চারজন করে কর্মী থাকবেন। এবং নিয়ম মেনে মাস্ক ও জীবাণু নাশক আবশ্যক। প্রতিটি গেটে শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য থাকবে থার্মাল গান।
কিন্তু আইনজীবীদের সুরক্ষা সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি হাইকোর্ট প্রশাসন। হাইকোর্টের হাসপাতালে চিকিৎসা সংক্রান্ত আবেদন করা হয়েছিল আইনজীবীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে। সে ব্যপারে কোনো ব্যবস্থার কথা হাইকোর্টের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ নেই। এবং আইনজীবিদের পক্ষ থেকে দাবি ছিল, প্রতিটি আইনজীবীর জন্য ১০ – ১৫ লক্ষ্য টাকা বিমার ব্যাবস্থা করার। কিন্তু এই ধরনের কোনো উল্লেখ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ নেই। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু মামলার শুনানি হবে বলে উল্লেখ আছে। যার বিরুদ্ধে বেশির আইনজীবী মত প্রকাশ করছেন। তাদের দাবি, সব মামলারই শুনানি হোক। তাই আগামী ১১ তারিখ থেকে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে শুনানিতে অংশ নিচ্ছেননা আইনজীবীরা।