আম্ফানের আগেই কালবৈশাখীর দাপট, গলসীতে চিমনী ভাঙল চালকলের, উড়ল একাধিক বাড়ির ছাউনি
জয়দেব লাহা, দুর্গাপুর: দুর্যোগ যেন পিছু ছাড়ছে না। বিশ্বজুড়ে করোনার থাবা। চোখ রাঙানী দিচ্ছে আম্ফুন ঘুর্ণীঝড়। তার আগেই কালবৈশাখীর দাপট। আর কয়েক মিনিটের ঝড়ে ভেঙে পড়ল চালকলের চিমনী, উঠল একাধিক বাড়ীর ছাউনী। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গলসী-১ নং ব্লকের বিভিন্ন এলাকায়। রবিবার দুর্গত এলাকায় পরিদর্শন গিয়ে ত্রাণ পৌঁছা দিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ -সভাপতি ও সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, গত পনেরো দিন আগে হাওয়া অফিস আগাম সতর্কতা জারি করছে আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের অশনি সঙ্কেত। ক্ষতির আশঙ্কা থেকে চাষীদের সতর্ক করতে তড়িঘড়ি বোরো ধান মাঠ থেকে তুলে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কালবৈশাখী। দফায় দফায় ঝড়বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে পাকা ধানের মাঠ। তার সঙ্গে জমেছে জল। আর তার জেরে ধান কাটতে বিপাকে পড়েছে চাষীরা। শনিবার রাত্রে আচমকা কালবৈশাখীর দাপটে গলসী-১ নং ব্লকের বেশকিছু এলাকায় প্রভাব পড়েছে।
বুদবুদের মানকরে একটি চালকলে সদ্য নির্মিত চিমনী ভেঙে পড়ে। হতাহত সেরকম কেউ না হলেও চলকলের ছাউনীর কিছুটা অংশ ভেঙে পড়েছে। চালকল মালিক অনিল নারায়ন চৌধুরী জানান, “উৎপাদন আপাতত বন্ধ। এরকম দুর্দিন চাল উৎপাদন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সেটা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বন্ধ হয়ে পড়ল। মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।”
এছাড়াও ব্লকে বেশকিছু বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গেছে।
গলসী-১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সহ- সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায় জানান,” ব্লকে কয়েকটি গ্রামে ২০ টির মতো ঘরবাড়ী ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে গিয়েছিলাম। ওই এলাকায় ত্রান সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে এসেছি। বাকি সরকারি ক্ষতিপুরণের দেওয়া প্রক্রিয়া চলছে।”
গলসী-১ ব্লক কৃষি আধিকারিক অরিন্দম দানা জানান, ” ব্লকে পোতনা-পুুুুরষা, শিড়রাই, উচ্চগ্রাম
পঞ্চায়েত এলাকায় ধানচাষে ক্ষতি হয়েছে। এলাকাগুলিতে সার্ভের কাজ চলছে। ওই তিনটি পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমির ধান ক্ষতি হয়েছে।”