বাস্তব যুদ্ধ অভিজ্ঞতায় এগিয়ে ভারত, স্ট্র্যাটেজিতেও: পড়ুন Belfer report 2020

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখে ভারত চিন সামরিক সংঘাতে উত্তপ্ত দু’দেশের সম্পর্ক সম্প্রতি দুই দেশের সামরিক অভিযানে হতাহত দু’পক্ষের বহু সেনাই। এই সংঘর্ষে ভারতের কুড়ি জন জওয়ান শহীদ হয়েছেন। ভারতের পাল্টা হামলায় অপর পক্ষের কমপক্ষে ৪৩ জনের উপর হতাহত হয়েছে বলে দাবি চিনের। চিন সীমান্তে ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে ব্রাহ্মোস মিসাইল ও প্রস্তুত রাখা হয়েছে যুদ্ধবিমান ঘাঁটিগুলোকে। কিন্তু এই উত্তেজনার মধ্যে ভারত চিন এই দুদেশ সামরিক দিক থেকে কতটা এগিয়ে তা সম্প্রতি বেলফার রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্ট কিন্তু সামরিক দিক থেকে এবং যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ও গুণগত মানের নিরিখে ভারতকে এগিয়ে রেখেছে চিনের থেকে।
আসুন দেখে নিই এক নজরে বেলফার রিপোর্ট:
চিনের মোট ৩২০ পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, ভারতের ক্ষেত্রে তা ১৫০টি৷ কত বছর দশটিরও বেশি পারমাণবিক অস্ত্র হাতে পেয়েছে ভারত।
সামরিক ক্ষমতা-
-চিনের ২৭০টি ফাইটার জেট রয়েছে৷ ভারতের মাটিতে হামলা চালানোর জন্য ৬৮টি এয়ারক্রাফট রয়েছে
-এই বছর মার্চে বেলফার রিপোর্টে প্রকাশিত খবর যে, চিনা সীমান্তে ভারতীয় এয়ারবেসের সংখ্যা বহু৷ যার থেকে সহজেই আক্রমণ চালানো যাবে৷
-চিনা বায়ুসেনার ৮টি এয়ারবেস রয়েছে সীমান্তে৷ কিন্তু এগুলি মূলত অসামরিক এয়ারফিল্ডে অবস্থিত৷ সেখান থেকে হামলা চালানো কিছুটা মুশকিল৷
-তিব্বত ও জিয়াংয়ং এয়ারবেস অনেকটা উঁচুতে৷ খারাপ আবহাওয়ার জন্য চিনা বিমান বেশি অস্ত্র নিয়ে উড়তে সক্ষম নয়৷
-বেলফার রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, ভারতের মিরাজ ২০০০ বা সু ৩০ সব সময়, সব আবহাওয়ায় উড়তে সক্ষম৷ কিন্তু চিনের জেট জে ১০ সেটা পারে না৷
সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে ভারত অনেকটা এগিয়ে৷ বলা হচ্ছে যে চিনের যুদ্ধের স্মৃতি বহু পুরোন৷ শেষবার ১৯৭৯-এ ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামিল হয়েছিল চিন যাতে তারা হারে৷ অন্যদিকে কাশ্মীরে প্রতিনিয়ত পাক সেনার বিরুদ্ধে লড়ে চলেছে ভারতীয় বাহিনী৷ এছাড়াও স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের সঙ্গে চারটি যুদ্ধে প্রত্যেকটিতেই জিতেছে ভারতীয় বাহিনী।কার্গিলের স্মৃতিও টাটকা৷ তাই অভিজ্ঞতার দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে ভারত৷ কিন্তু চিনের ক্ষেত্রে বাস্তবিক যুদ্ধের অভিজ্ঞতা একেবারে নেই বললেই চলে। এমনটাই বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
-তিব্বত ও LAC-তে ভারতের বাহিনীর সংখ্যা প্রায় ২২৫০০০৷ অন্যদিকে চিনে ক্ষেত্রে সেটা ২০০০০০ থেকে ২৩০০০০৷ এই সংখ্যাটা খুব সহজে বাড়িয়ে ফেলতে পারে চিন৷ কিন্তু খারাপ রাস্তার ফলে খুব সহজে চিন এই কাজটা করতে পারবে না৷ এমনকি অবস্থানগত সুবিধার জন্য তিব্বত সংলগ্ন রেলপথ উড়িয়ে দিতে পারে ভারত, যার ফলে খুবই সমস্যায় পড়তে পারে চিন৷
এছাড়াও নৌযুদ্ধ চীনের থেকে অনেকটা কৌশলগতভাবে এগিয়ে রয়েছে ভারত । যুদ্ধজাহাজ কিংবা সাবমেরিনের সংখ্যা চীনের থেকে কম হলেও সেগুলো গুনগতমান কৌশলগত রণনীতির ক্ষেত্রে অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ পজিশনে রেখেছে ভারতকে। উদাহরণস্বরূপ ভারতের আইএনএস বিক্রমাদিত্য কিংবা নিউক্লিয়ার সাবমেরিন আইএনএস আরিয়ান্ত চিনের কুইংঘাই ক্লাস এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ের থেকে গুণগতভাবে অনেক উন্নত ও আধুনিক বলেই দাবি এই রিপোর্টের।