কলকাতাগুরুত্বপূর্ণহেডলাইন
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার! ১০ বছরের কম বয়সী শিশুরা চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতে পারবে

শরনানন্দ দাস,কলকাতা: পুজোর আগেই রাজ্যের সমস্ত চিড়িয়াখানা, অভয়ারণ্য খোলার ঘোষণা করেন রাজ্যের বনদফতর। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে কিছু বিধিনিষেধও ছিল। তারমধ্যে অন্যতম হলো ১০ বছরের কম বয়সী শিশুরা চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতে পারবে না। এবার সেই নিষেধাজ্ঞা উঠল।
ঘটনা হলো চিড়িয়াখানায় শিশুদের প্রবেশাধিকারের জন্য নানা মহল থেকেই আবেদন করা হয়। প্রশ্ন তোলা হয় ‘বাচ্চাদেরই যদি ঢোকা নিষেধ হয়, তবে আর চিড়িয়াখানা খুলে রাখা কেন বন্ধ করে দিলেই হয়!’
চিড়িয়াখানা খোলার পর দর্শকও বেশ ভালই হচ্ছিল। তখনই একাধিকবার অনুরোধ-উপরোধ এসেছে। কোলের শিশু হলে বাবা-মাকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সব সময় যে তা সম্ভব হয়েছে, তেমনটাও নয়। পুজোর মধ্যে ক’দিন বন্ধ রেখে আবার চিড়িয়াখানা খুলতেই সেই এক ছবি। চিড়িয়াখানা খোলা ইস্তক গত রবিবারই সব থেকে বেশি ভিড় হয়েছিল। ২৭০০ দর্শকের সমাগম হয়েছিল। তাঁদের প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী সব পদক্ষেপ মেনে চলতে হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঢোকার মুখে সবাইকে থার্মাল স্ক্রিনিং করে স্যানিটাইজার হাতে মেখে ঢুকতে হয়েছে। এনক্লোজারের ধারে কাউকে পৌঁছতে দেওয়া হয়নি। কোথাও জটলা করতে দেওয়া হয়নি কোনও দর্শককে।
চিড়িয়াখানায় যাঁরা যেতে পারছেন না, তাঁদের কথা ভেবেই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এক সময় লাইভ শো শুরু করেছিলেন। চিড়িয়াখানা খোলার পর সেই শো বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু দর্শকদের অনুরোধে সেই শোও শুরু হয়েছে।
অধিকর্তা আশিস সামন্ত জানাচ্ছেন, ‘মানুষ চিড়িয়াখানা নিয়ে অত্যন্ত উৎসাহী। তাঁরা পশুপাখিদের দেখতে চান। জানতে চান অনেক কিছু। তাঁদের কথা রাখতেই আবার লাইভ হচ্ছে।” এর মধ্যে বেশ কিছু প্রাণী একাধিক সন্তানের জন্ম দিয়েছে। সদ্য জন্ম হয়েছে এক ফিশিং ক্যাটের ছানার। তবে এখন আর বাধা নেই কমলালেবু রোদ গায়ে মেখে চিড়িয়াখানা যাওয়াই যায়। তবে টিকিট কাটতে হবে বনবিভাগের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে।