
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া আর কোনও রাজ্যেই করা যাবে না সম্পূর্ণ লকডাউন। আনলক ফোরের গাইডলাইনে সেকথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। তবে তা সত্ত্বেও রাজ্যের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হল পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ৭, ১১ এবং ১২ সেপ্টেম্বর হবে সম্পূর্ণ ,লকডাউন। একই সঙ্গে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে কলকাতায় মেট্রো রেল চালু হবে বলে এদিন জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার। সোমবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল নবান্ন। একই সঙ্গে এটাও জানা গিয়েছে কেন্দ্র কেন রাজ্যের হাত থেকে লকডাউন সম্পর্কিত অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে তার ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। সেই ব্যাখ্যা যতক্ষন না আসে ততক্ষন রাজ্য সরকার সেপ্টেম্বর মাসে ঘোষিত লকডাউন প্রত্যাহার করবে না।
আনলক-৪ পর্বে কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া অন্য কোথাও কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া লকডাউন জারি করা যাবে না এমনটাই কেন্দ্রের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। আর এই নির্দেশিকা নিয়ে শুরু হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েন। এ রাজ্যের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ৭, ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর লকডাউনের কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রের নির্দেশিকার পরে প্রশ্ন উঠেছে এই ৩দিন কী আদৌ লকডাউন হবে। সেই প্রশ্ন জনমানসে আরও তীব্র করে তোলে রাজ্য সরকার লকডাউন প্রত্যাহার করা নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি না করায়। এখন অবশ্য জানা যাচ্ছে যে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের নির্দেশিকা এখনই মেনে নিচ্ছে না বা তার বিরোধীতাও করবে না।
আরও পড়ুন: লোকাল চললে ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব রেলবোর্ডের
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের জাত থেকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত কেড়ে নেওয়া কেন হল তা নিয়ে কেন্দ্রকে ব্যাখ্যা করতে চেয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য। যতদিন না সেই চিঠির উত্তর আসে ততদিন রাজ্য সরকার লকডাউন প্রত্যাহার করার পথ থেকে সরে আসবে না। সেক্ষেত্রে আগামী ৭, ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজ্যে সার্বিক লকডাউন হবে। কেন্দ্র যদি ঠিকঠাক ব্যাখ্যা দেয় তাহলে রাজ্য অবশ্যই সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করবে। কিন্তু বিনা ব্যাখায় জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া হলে তা মানা হবে না। প্রয়োজনে আদালতে যেতেও পিছুপা হবে না রাজ্য সরকার।