“মমতার সরকার যাবেই, রাজ্যে পদ্ম ফুটবে”: জে পি নড্ডা

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: “রাজ্যে অরাজকতা চলছে, অসহিষ্ণুতা চলছে। মা দুর্গার আশীর্বাদে বেঁচে গেছি। তৃণমূলের গুন্ডারা চেষ্টার খামতি রাখেনি।”ডায়মন্ডহারবারে আসার পথে শিরাকোলে দলীয় হামলার প্রস অঙ্গে বলেন নাড্ডা। বিজেপি নেতাদের গাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে।ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে একহাত নিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। বৃহস্পতিবার কর্মিসভায় নড্ডার গর্জন, বাংলায় এই গুন্ডারাজ ও অরাজকতাবাদ বেশিদিন চলবে না। পদ্ম ফুটবে এই মাটিতে।
এনিয়ে দলীয় সভায় নাড্ডা বলেন, “পথে যে দৃশ্য আমি দেখেছি তাতে স্পষ্ট মমতার শাসনে বাংলা অরাজকতা ও অসহিষ্ণুতার পরাকাষ্ঠায় পরিণত হয়েছে। মা দুর্গার আশীর্বাদে আজ আমি এখানে পৌঁছেছি । মমতার সরকার যাবেই, রাজ্যে পদ্ম ফুটবে। রাজ্যে জঙ্গলরাজ চলছে। এটা বলছি তর কারণ আছে। কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিনহার গাড়ির অবস্থা দেখুন, আমার বুলেট প্রুফ গাড়ি ছিল বলে বেঁচে গেছি। গুন্ডারাজ চলছে। রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এদের মানসিকতা বিপক্ষকে উত্খাত করা। তাই আপনাদের আশীর্বাদ চাইছি।” নাড্ডার দাবি, “সংস্কৃতি, সভ্যতার জন্য বাংলার পরিচয় ছিল। মমতা ব্যানার্জি যা করেছেন, বাংলাকে নীচে নিয়ে গেছেন। একে সোনার বাংলা তৈরি করতে হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কি তুই তো কারি করার ভাষা শিখিয়ে ছিলেন। বাংলা সভ্যতার জননী। যে ভাবে এটা নীচে নেমেছে তা ঠিক করতে হবে।
সুর চড়িয়ে নড্ডার দাবি, ‘বিপক্ষকে পিষে মারার এই যে মতাদর্শ একে আমি পিষে মারতে চাই। সেজন্যই আমি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। গণতন্ত্রের আহ্বান করতে চাই’। একই সঙ্গে বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ডাক দেন তিনি। বলেন, ‘আমি এমনি এমনি জঙ্গলরাজ শব্দের ব্যবহার করি না। আপনারা দেখুন, কৈলাসজি, রাহুলদার গাড়ি দেখুন। আমি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে ছিলাম বলে বেঁচে গিয়েছি। নইলে এমন কোনও গাড়ি নেই যার ওপর হামলা হয়নি। এই যে গুন্ডারাজ একে আমাদের তছনছ করতে হবে। এখানে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে’।
আরও পড়ুন: নাড্ডার কনভয়ে ইটবৃষ্টি, ভাঙল কৈলাসের গাড়ির কাচ, নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ, শাহকে চিঠি দিলীপের
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্যে করে নাড্ডা বলেন, “এখানকার সাংসদকে সংসদে দেখা যায় না। পুলিশের রাজনীতিকরণ হচ্ছে, প্রশাসনের হচ্ছে, এটা লজ্জার। প্রশাসন নেই রাজ্যে। প্রশাসন ভেঙে পড়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে বাংলায় ঘোরা যাবে না। আম্ফানে প্রধানমন্ত্রী ১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন। কিন্তু এখানে চালচোর, ত্রিপল চোর রয়েছে, ওই টাকা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। কোর্ট বলেছে অডিট করতে। সুপ্রিম কোর্টে গেলেন মমতা। কারণ তিনি ভয় পাচ্ছেন।”
বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারে কর্মীসভার পথে জেপি নড্ডার কনভয় লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটবৃষ্টি হয়। ইটের ঘায়ে একাধিক বিজেপি নেতা ও সংবাদমাধ্যমের গাড়ির কাচ ভেঙেছে। আহত হয়েছেন মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ একাধিক বিজেপি নেতা। আহত হয়েছেন তাঁদের একাধিক নিরাপত্তাকর্মী ও সাংবাদিক। এদিন ডায়মন্ড হারবারের সভা শেষে জেলার ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেপি নড্ডা। এর পর রওনা হন সরিষা রামকৃষ্ণমিশনের উদ্দেশ্যে।