বছরের প্রথম পর্বত অভিযানে বাংলার তিন এভারেস্টজয়ী, দেবাশিস, সত্যরূপ, মলয়

শরণানন্দ দাস, কলকাতা: বছরের প্রথম পর্বত অভিযানে বাংলা থেকে যাচ্ছেন তিন এভারেস্ট বিজয়ী পর্বতারোহী দেবাশিস বিশ্বাস, সত্যরূপে সিদ্ধান্ত ও মলয় মুখোপাধ্যায়, চতুর্থ জনও বাংলার। তিনি কিরণ পাত্র, ২০১৫ য় এভারেস্ট অভিযানে গিয়েছিলেন, কিন্তু সে বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এভারেস্ট অভিযান বাতিল হয়। শেরপাদের নেতৃত্বে রয়েছেন তাসি শেরপা (পেম্বা শেরপার ভাই)। এই অভিযানের এজেন্সি সেভেন সামিট ট্রেকস।
আগামী ১ নভেম্বর কলকাতা থেকে রওনা দেবেন বাংলার অভিযাত্রীরা। দেবাশিস বিশ্বাস জানালেন, ‘ আমরা যাচ্ছি ‘ আমা ডাবলাম’ শৃঙ্গ অভিযানে। এ বছর বাংলা থেকে তো বটেই দেশের মধ্যে প্রথম দলগত পর্বত অভিযানে যাচ্ছি। সবাই জানেন করোনার কারণে এবার এভারেস্ট সহ সব শৃঙ্গ অভিযানই বাতিল হয়ে যায়। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়ায় নেপাল সরকারের অনুমতিক্রমে আমরা এই অভিযানে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ফের সাফল্য নিরাপত্তাবাহিনীর, জম্মু-কাশ্মীরে খতম ২ জঙ্গি
প্রথম বাঙালি এভারেস্ট জয়ী জানালেন, ‘ আমা ডাবলাম, বিশ্বের সুন্দরতম পর্বতশৃঙ্গ গুলোর অন্যতম। পিরামিডের মতো আকৃতির এই শৃঙ্গের উচ্চতা ৬, ৮১২ মিটার ( ২২, ৩৪৯ ফিট)। এর অর্থ হলো ‘ আমা’ অর্থাৎ মা, আর ‘ডাবলাম’ শব্দের অর্থ নেকলেস। উঁচু খাড়া পর্বতের দুইধারের খাঁজ গুলোকে মনে হয় দুই বাহুর মতো। যেন মা দুই বাহু বাড়িয়ে সন্তানকে রক্ষা করছেন। আর ঝুলন্ত হিমবাহকে মনে হয় নেকলেসের মতো। ‘
তিনি বলেন, ‘ আমা ডাবলামকে তার আকৃতির জন্য ‘ ম্যাটারহর্ন অব দ্যা হিমালয়’ বলা হয়। এই পর্বত শৃঙ্গটি মাউন্ট এভারেস্টের দক্ষিণে নেপালের খুম্বু অঞ্চলে অবস্থিত। কিছুটা পথ এভারেস্ট অভিযানের পথেই, তারপর দক্ষিণ- পশ্চিম দিক বরাবর এগুতে হয়, এই পথেই ১৯৬১ সালে অভিযাত্রীরা প্রথমবার এই শৃঙ্গ অভিযান করেছিলেন। ১৩ থেকে ২৬ নভেম্বরের মধ্যে শৃঙ্গজয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।’
এই শৃঙ্গ অভিযানের ঝুঁকি কতোটা জানতে চাইলে দেবাশিস হেসে বলেন, ‘ এটুকু বলতে পারি ডিজনিল্যাণ্ডে বেড়াতে যাচ্ছি না। পাহাড় সামান্য ভুলকেও ক্ষমা করে না। বিপদতো ওঁত পেতে থাকবেই। ‘ সফল হয়ে নিরাপদে ফিরুন চার অভিযাত্রী বাংলার পর্বত প্রেমী মানুষ এই কামনাই করছেন।