কাটোয়ায় ফুঁসছে ভাগীরথী, উদ্বেগে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা

দিব্যেন্দু রায়, কাটোয়া: লাগাতার বৃষ্টিপাতের ফলে কাটোয়ায় ফুঁসছে ভাগীরথী। ফলে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। এরপর বৃষ্টিপাত বাড়লে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি নদীর স্রোতে প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা ভেসে আসায় ফেরি চলাচলের সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে নৌকার মাঝিদের।
মাঝিরা জানিয়েছেন, মটরচালিত নৌকাগুলির পাখায় কচুরিপানা জড়িয়ে অনেক সময় মাঝনদীতে যান্ত্রিক বিভ্রাট ঘটে যায়। তাই খুব সতর্কতার সঙ্গে তাঁদের নৌকা চলাচল করতে হচ্ছে।
জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকেই কাটোয়ায় ভাগীরথীর জলস্তর হু হু করে বাড়তে শুরু করে। ফলে কাটোয়ার বল্লভপাড়া,শাখাই প্রভৃতি ফেরিঘাটগুলির আংশিক অংশ জলমগ্ন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কারগিল বিজয় দিবসে শহিদ বীর সেনাদের শ্রদ্ধা জানালেন রাজনাথ সিং
ফেরিঘাটের কাছে টিন ও তালপাতার ছাউনি দেওয়া যে সমস্ত দোকান ছিল সেগুলিও জলের তলায় চলে যায়। তবে তার আগেই দোকানদাররা মালপত্র সরিয়ে নিয়ে চলে যান বলে জানা গেছে। ডুবে যায় ফেরিঘাটের কর্মীদের বসার ছাউনি ।
এদিকে ভাগীরথীর জল বাড়ায় কাটোয়া পুরসভার ২,৩, ৯, ১০ এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডের অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।চিন্তা বেড়েছে কেতুগ্রাম ও অগ্রদ্বীপ গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যেও। বিশেষ করে ভাঙন প্রবণ অগ্রদ্বীপ বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
কাটোয়ার বিধায়ক তথা কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ইনচার্জ রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শুধু বৃষ্টিপাতের জন্যই নয়, মালদার ফুলহার বা মহানন্দা নদীর জল বাড়ায় কাটোয়ায় ভাগীরথীর জলস্তর বেড়ে গেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত জলস্তর বিপদসীমার কাছাকাছি যায়নি। তবে আমরা পরিস্থিতির নজর রাখছি। প্রশাসনিকস্তরে এই নিয়ে আলোচনা চলছে। নাগরিকদের অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।