রাজ্যজুড়ে জোন ভিত্তিক কিষাণ Rally-র আয়োজনে ভারতীয় জনতা কিষাণ মোর্চা

শ্যামলকান্তি বিশ্বাস, কৃষ্ণনগর: বাংলার কৃষি ও কৃষকের আর্থ-সামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে ভারতীয় জনতা কিষাণ মোর্চা, রাজ্যজুড়ে বিশেষ কর্মাভিযান শুরু করেছে। ১০ নভেম্বর থেকে আগামী চার মাস ব্যাপী এই কর্মসূচি চলবে বলে জানালেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার। ১০ নভেম্বর নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর শহর থেকে শুরু হচ্ছে এই কর্মসূচি এবং শেষ হবে ২০২১ এর ৩ ফেব্রুয়ারি হুগলি জেলার সিঙ্গুরের জনসভা মঞ্চ থেকে। দীর্ঘ চার মাসের সাংগঠনিক কর্মসূচি রূপায়নের অন্যান্য জোনগুলি হল, মেদিনীপুর, বর্ধমান, মালদা, মথুরাপুর এবং সবশেষে হুগলি জেলার সিঙ্গুর। ১০ নভেম্বর কৃষ্ণনগরের সভার দায়িত্বে থাকছেন শেখর সিং, ১৮ নভেম্বর মেদিনীপুরের সভার দায়িত্বে থাকছেন অনাদি জানা, ২২ নভেম্বর বর্ধমানের জামালপুরের সভার দায়িত্বে থাকছেন সুধাময় ব্যানার্জি, ২৫ নভেম্বর মালদা সভার দায়িত্বে থাকছেন শ্রীমতি রূপা মৈত্র চৌধুরী, ২৯ নভেম্বর মথুরাপুরের সভার দায়িত্বে থাকছেন ডঃ নির্মলেন্দু সামন্ত। ১২ নভেম্বর বিশেষ কর্মসূচি আলু সহ আলু বীজের কালোবাজারি রুখতে আলু উৎপাদক সমস্ত জেলার এগ্ৰি মার্কেটিং অফিসের সামনে বিক্ষোভ ও ধরনা প্রদর্শন, কর্মসূচির নেতৃত্বে অদিত মন্ডল।
আরও পড়ুন:“মাকে খুব মনে পড়ছে”, আবেগাপ্লুত মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ১৮ নভেম্বর এবং ১৯ নভেম্বর দিঘায় রাজ্য কমিটির কার্যকারিণী সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ১ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর রাজ্যের ২১৩টি বিধানসভা এলাকায় কিষাণ সন্মেলন এবং প্রতিটি পঞ্চায়েত থেকে অন্তত ১০ জন সফল কৃষককে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে এবং এই কর্মসূচি রূপায়ণে মুল দায়িত্বে থাকছেন স্বরাজ বসু। এরপর ২০২১ এর ৬ জানুয়ারি কলকাতায় বিশেষ কর্মসূচি, দলীয় কার্যালয় থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত কৃষক মহা মিছিল এবং ৩ ফেব্রুয়ারি’ ২১ হুগলি জেলার সিঙ্গুরে কৃষক মহা সমাবেশ। রাজ্যস্তরে কর্মসূচির সার্বিক নজরদারিতে থাকছেন নিপুল ব্যাপারী।