চিনা যোগ ও কর ফাঁকির অভিযোগে বিদ্ধ বাইডেন পুত্র হান্টার

ওয়াশিংটন: অভিযোগকারী ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারে তুলেছিলেন বাইডেন পুত্র হান্টারের বিরুদ্ধে চিনা যোগ ও কর ফাঁকির অভিযোগ। যার জেরে বুধবার শুরু হয়েছে তদন্ত। গুরুত্বর এই অভিযোগে তদন্তে নেমেছেন মার্কিন জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট। ফলে, হোয়াইট হাউসে প্রবেশের আগেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন হবু মার্কিন প্রেসিডেন্টে। তবে বাইডেনের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির কোনও অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
ফেডেরাল প্রসিকিউশন সূত্রের খবর, ব্যবসায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো, বিদেশি সংস্থার সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম ভাঙা, বেআইনি আর্থিক লেনদেন এবং কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে ৫০ বছরের হান্টারের বিরুদ্ধে। রাজস্ব দপ্তরের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই–এর আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত হয়েছে তদন্তকারী দল। হান্টার নিজেও বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তবে আশা করছি, তদন্তে প্রমাণিত হবে আমি আইন মেনে যথাযথভাবেই ব্যবসা করেছি।’
প্রেসিডেন্ট ভোটের প্রচারের সময় বাইডেনের ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবসা সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি, হান্টার বিধি ভেঙে চিন এবং ইউক্রেনের সঙ্গে ব্যবসা করছেন বলেও ট্রাম্প দাবি করেছিলেন। ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি দপ্তর সূত্রের খবর, হান্টারের ‘চিনা যোগাযোগ’ নিয়েও তদন্ত করছেন ফেডেরাল প্রসিকিউটরা। তবে হান্টারের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ প্রথম নয়। এর আগেও বিদেশি সংস্থার সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম ভাঙা, নিজের ব্যবসায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো এবং বেআইনি ভাবে আর্থিক লেনদেন, এই বিষয় গুলি নিয়েও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু এখন হান্টারের বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হওয়া, জো বাইডেনের ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
উল্লেখ্য, বাইডেন পুত্র হান্টারের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ উঠলেও, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে একই ধরণের অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’ গত ২৮ সেপ্টেম্বর এক প্রতিবেদনে দাবি করে, ১০ বছর কোনো আয়কর দেননি ট্রাম্প। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প যে বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হন, সেই ২০১৬ সাল এবং হোয়াইটে হাউসে প্রবেশের বছর ২০১৭ সালে মাত্র ৭৫০ ডলার করে আয়কর দিয়েছেন। এ ছাড়া ২০০০ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ১৫ বছরের মধ্যে ১০ বছরই কোনো আয়কর দেননি ট্রাম্প।’ পরে এই প্রতিবেদনকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে আখ্যায়িত করেন ট্রাম্প।