রাজনৈতিক চাপান-উতোর, তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে প্রাণনাশের আশঙ্কার অভিযোগ বিজেপির

কৃষ্ণা দাস, শিলিগুড়ি: রাজনৈতিক চাপান-উতোর। উত্তর দিনাজপুরের দোমহনা অঞ্চলের বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যদের প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে, এই প্রসঙ্গ সামনে এনে সাংবাদিক সম্মেলন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রথীন্দ্র বোসের।
জানা গেছে, প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কায় উত্তর দিনাজপুর জেলার দোমহনা গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের বিজেপি সদস্যরা শিলিগুড়ি মাটিগাড়ার হোটেলে এসে ওঠেন। খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস হোটেলে গিয়ে তাদের পুলিশি নজরেবন্দি করে রেখেছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তাদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টারও আশঙ্কায় শংকিত বিজেপি।
শুক্রবার শিলিগুড়িতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রথীন্দ্র বোস। অন্যদিকে শাসক দল তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ বিজেপির তরফে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে নানাভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
জানা গিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের দোমহনা গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের ২৬টি আসন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ১৪ টি আসনে জয়ী হয়, বিজেপি পায় ৯টি আসন ও বাম-কংগ্রেস জোট পায় চারটি আসন। স্বাভাবিকভাবেই ওই অঞ্চলে তৃণমূল বোর্ড গঠন করে। এদিকে সম্প্রতি ওই অঞ্চলের প্রধানের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে বিজেপির দাবি তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের একজন বিজেপিকে সমর্থন করতে চায়। অন্যদিকে বাম-কংগ্রেস জোটও বিজেপিকে সমর্থন করবে বলে স্থির হয়। তবে সেক্ষেত্রে জোটের কাউকে প্রধান করতে হবে। বিজেপি তাতে সায় দেয়। চলতি মাসের ২৫ তারিখ সেখানে নতুন বোর্ড গঠন হওয়ার কথা। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল সংখ্যা লঘিষ্ঠ হয়েও বোর্ড গঠন করতে চায়।
কোনোভাবেই বিজেপি যাতে সেখানে বোর্ড গঠন করতে না পারে সেজন্য তৎপর তৃণমূল। তাই বিজেপি সদস্যরা সহ বিজেপিকে সমর্থন করা তৃণমূল সদস্য প্রাণসংশয়ের আশঙ্কায় শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি হোটেলে এসে উঠেছে। বোর্ড গঠনের দিন তারা উত্তর দিনাজপুর ফিরে গিয়ে বোর্ড গঠন করার কথা।
বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রথীন্দ্র বোসের অভিযোগ , সেই খবর পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে রেট করে। রীতিমতো হোটেলের বাইরে দুটো পুলিশের স্কড গাড়ি দাঁড়ানো রয়েছে। তাদের সেখানে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি বিজেপির ওই সদস্যদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হতে পারে। তৃণমূল সংখ্যা লঘিষ্ঠ হয়েও বোর্ড দখল করতে চাইছে। বিরোধীদের তারা কিছুতেই বোর্ড দখল করতে দেবে না।” তার অভিযোগ, “রাজ্যে গনতন্ত্র বলে কিছু নেই। বিরোধীদের কন্ঠ রোধ করা হচ্ছে। এটা চলতে পারে না।”
এ ব্যাপারে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, “বিজেপি সদস্যদের যদি প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা থাকে তাহলে আইন আদালত আছে সেখানে যাক।” পাশাপাশি তার প্রশ্ন, যাদের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে তারা না বলে রথীন্দ্র বোস কেন বলছেন? এছাড়া তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “আমার কাছে যা খবর আছে তাদের সঙ্গে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছে। নানা রকমভাবে তাকে ভয় দেখাচ্ছে। কারুর প্রাণ সংশয় নেই যদি তেমন মনে করে পুলিশ প্রশাসন রয়েছে আইন আদালত আছে সেখানে যাক। “