বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন , গাজিপুরে চাঞ্চল্য, অভিযুক্ত তৃণমূল

মিলন পণ্ডা, ভূপতিনগর, পূর্ব মেদিনীপুর: ফের খুন বিজেপি কর্মী। এবার ঘটনারস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর। বুধবার বিজেপির এক বুথ সম্পাদককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। মৃত বিজেপি কর্মী গোকুলচন্দ্র জানা (৬২)। বাড়ি ভগবানপুরের ভূপতিনগর থানার গাজিপুর গ্রামে। ১৭৭ নং বুধে বিজেপি সম্পাদক ছিলেন। পুলিশ মৃতদেহটি কাঁথি হাসপাতালের ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। খুনের অভিযোগ তুলে সবর হয়েছেন এলাকায় বিজেপি নেতৃত্বরা।
দলীয়কর্মীর মৃত্যুতে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার উত্তরবঙ্গ থেকে তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজঙ্ক ঘটনা। অত্যাভারী, সমাজবিরোধীরা রাজ্য চালাচ্ছে। পুলিশ নীরব দর্শক। এই অত্যাচারের জবাব মানুষ দেবে। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘ভগবানপুর ২ ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েৎ এলাকায় তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। তারাই আমাদের কর্মীকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। পিলুশ কিচজু ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তর্ণমূল সম্পাদক কনিষ্ক পণ্ডা।
জানা গেছে, গ্রামের তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী টিঙ্কু পালের করোনা ভাইরাস পজিটিভ থাকার সত্বেও কোন স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়াছেন। গ্রামের নলকূপ থেকে জল নিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি সদস্যরা এলাকায় বাজারে ঘুরে বেড়াছেন। এনিয়ে বুধবার সকালে এলাকায় আশাকর্মী মিনতি জানার বাড়িতে যায়।তৃণমূলের নেতার পরিবারের স্বেচ্ছাচারিতা অভিযোগ জানায় বিজেপি বুধ সম্পাদক গোকুলচন্দ্র জানা। তখনই আশাকর্মীর স্বামী শঙ্কর জানা স্বজোরে কানে আঘাত করে বলে অভিযোগ। কিছুক্ষনের মধ্যে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়।ঘটনার খবর পেয়ে হাজির হয় বিজেপি মণ্ডল সভাপতি সহ অন্যন্য বিজেপি নেতৃত্বরা।
আরও পড়ুন: ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে জঙ্গলমহল থেকে উৎখাত করবে মানুষ: ভারতী ঘোষ
মৃত বিজেপি কর্মী ছেলে তপন জানা বলেন পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী করোনা পজিটিভ পর তার পরিবারের বাকী সদস্যরা গ্রামে ঘুরে বেড়াছে। এনিয়ে বাবা গ্রামের আশাকর্মীকে জানায়। তাতেই রেগে বাবা মারধর করে আশাকর্মীর স্বামী শঙ্কর। এমনকি কানে নিচে আঘাত করে। তারপরে বাবা মৃত্যু হয়। কাঁথি সংগঠনীক জেলার বিজেপি সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন ভগবানপুর ২ ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের উগ্রপস্তি রয়েছে। তৃণমূলের হার্মাদবাহিনীরা পিটিয়ে আমাদের কর্মীকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। বিষবটি পুলিশকে জানিয়েছে। পুলিশ কিছু ব্যবস্থা না নিলে বৃহওর আন্দোলনে নামার হুশিয়ারী দেন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূলের সম্পাদক কনিস্ক পণ্ডা বলেন এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোন যোগ নেই। এটি সপুন্ন পারিবারিক ঘটনা। বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে চাক্রান্ত করছে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন বিজেপি নেতারা শ্মশান ঘুরুক। মৃতদেহ পেলে বিজেপি রাজনীতি করছে। এই ঘটনার তৃণমূলের কোন যোগ নেই। ভূপতিনগর থানার ওসি রবি গ্রহিকা বলেন মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে৷ ময়না তদন্তে রির্পোট এলে পরিস্কার হবে। যদিও এই বিষব আশাকর্মী ও স্বামী কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।