কাঁকসায় ভরাট পুকুর সংস্কার না হওয়া সরব বিজেপি, ভূমিরাজস্ব দফতরে বিক্ষোভ

জয়দেব লাহা, দুর্গাপুর: নির্দেশিকায় লাভ হয়নি কিছুই। অবাধে চলছে পুকুর ভরাট। তার ওপরই চলছে প্রমোটারি। দেশজুড়ে জলসংরক্ষনের বার্তার মধ্যেও এবার জলাজমি ভরাটের প্রতিবাদে সরব হল দূর্গাপুর শিল্পাঞ্চল এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব। মঙ্গলবার কাঁকসা, পানাগড়ে জলাশয় ভরাটের প্রতিবাদে ও ভূমিহীনদের পাট্টার দাবীতে ব্লক ভূমিরাজস্ব দফতরে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, কাঁকসা ব্লকের পানাগড় এলাকায় এখনও পর্যন্ত ১৫ টিরও বেশী পুকুর ভরাটের অভিযোগ রয়েছে। গত ২০১৭ সালে প্রথম অভিযোগ ওঠে রামচন্দ্র দীঘি। পানাগড়-মোরগ্রাম সড়কের ওপর দার্জিলিং মোড়ে রয়েছে রামচন্দ্রদীঘি নামে ওই প্রাচীন একটি পুকুর। বর্ষায় আশপাশের পানাগড় গ্রাম, পাঠানপাড়া সহ একাধিক এলাকার। কিন্তু সংস্কার না হওয়ায় আগাছার জঙ্গলে ভর্তি হয়ে গেছে পুকুরটি। অভিযোগ ২০১৭ সালে পুকুরটির চারপাশে পাঁচিল তুলে ছাই ভরাটের কাজ শুরু হয়। মাস কয়েক আগে গোটা জেলাজুড়ে পুকুর ভরাটের সমীক্ষা তৈরী হয়। ভরাট কাজ বন্ধ করে পুকুর মালিককে পুর্বের অবস্থায় ফেরানোর নির্দেশিকাও জারি হয়। তা সত্বেও পুকুর ভরাট করে তৈরি হয়েছে একাধিক বাড়ি, এমনটাই অভিযোগ। একের পর এক পুকুর ভারাটে জলসঙ্কটের আশঙ্কায় এলাকাবাসী।
বিজেপির পুর্ব বর্ধমান জেলা সহ সভাপতি রমন শর্মা জানান,” গত কয়েকবছর ধরে অবাধে বড় বড় পুকুর, দীঘি সব ভরাট হয়ে যাচ্ছে। প্রমোটারি চলছে। সেগুলো পুর্বের অবস্থায় ফেরানো হচ্ছে না। ফলে ভুগর্ভস্ত জলের টান পড়ছে। শাসকদলের মদতে চলছে পুকুর ভরাট। তিনি আরও বলেন,” কাঁকসা ব্লকের বহু গরীব ভুমিহীন মানুষ সরকারি জায়গায় ৩০-৪০ বছর বসবাস করেও পাট্টা পাচ্ছে না। অথচ শাসকদলের বিত্তবান প্ররভাবশালীরা পাট্টা পাচ্ছে। তাই তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
অন্যদিকে পশ্চিম বর্ধমান জেলাপরিষদের সহ সভাধিপতি সমীর বিশ্বাস দলীয়কর্মী জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান,” অভিযোগ কিছু শুনেছি। জেলা পরিষদের বোর্ড মিটিং বিষয়টি তুলে ধরা হবে। এবং পুকুরগুলি সংস্কার কিভাবে করা যায় তার চিন্তভাবনা চলছে।” কাঁকসা বিএলআরও সুব্রত ঘোষ পুকুর ভরাট প্রসঙ্গে বলেন,” কোনওরকম পুকুর ভরাট রেয়াত করা হবে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”