কলকাতাগুরুত্বপূর্ণপশ্চিমবঙ্গহেডলাইন
মমতাকে বিঁধে বিজেপির টুইট অভিযান ”হিসেব চাই পিসি”

শরণানন্দ দাস, কলকাতা: একুশের মহারণের আগে করোনা আবহে খুব বেশি প্রকাশ্য জনসভায় বা র্যালি করার সুযোগ কম। গেরুয়া শিবির তাই ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্মকেই বেশি ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছে। প্রথম ডিজিট্যাল সভায় অমিত শাহের ভাষণ শুনেছিলেন ১ কোটির কাছাকাছি মানুষ। এবার নির্বাচনী প্রচারেও তাই সোশ্যাল মিডিয়াকে তুরুপের তাস করছে বিজেপি। তৃণমূলের দুর্নীতি, সিণ্ডিকেটরাজ, তোষণের রাজনীতির মতো ইস্যুতে টুইট অভিযান ‘ হিসেব চাই পিসি’ প্রচার অভিযান শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি।
টুইট যুদ্ধে অংশ নিয়ে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা লিখেছেন, ‘নারদা স্টিং অপারেশনে হাতেনাতে ধরা পড়ে তৃণমূলের নেতারা। দিদি তখনও চুপ। দিদির কাছে কী হিসাব আছে জনগণের আত্মসাৎ করা টাকার অঙ্কের? এবার হিসাব চাই পিসি।’ মালদার ( উত্তর) সাংসদ খগেন মুর্মু টুইট করেছেন, ‘ বাড়ছে আলুর দাম, পেঁয়াজের দাম, আত্মহত্যা করছে বাংলার চাষিরা। গত ৯ বছরে কতোজন চাষি মরেছে। হিসাব চাই পিসি।’
টুইট যুদ্ধে অংশ নিয়ে আম্ফানে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ১০০০ কোটি টাকার হিসাব চাইলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি লিখেছেন, ‘ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলায় আম্ফানের ত্রাণের জন্য ১০০০ কোটি টাকা দেন। গ্রামীণ বাংলা এখনও এ ব্যাপারে অন্ধকারে। আপনি কি জানাবেন সে টাকা কিসে খরচ হলো। হিসাব চাই পিসি।’
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু টুইটে তোপ দেগেছেন, ‘ মমতা সরকারের আমলে তোষণ নীতির জন্য বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকছেন। আমরা কতোটা সুরক্ষিত? হিসাব চাই পিসি।’
এদিন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য ‘ দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে শিক্ষকদের কাছে লাগানোর তীব্র সমালোচনা করেন। শিক্ষকদের ‘ চলুন মাস্টারমশাই ঘুরি বাড়ি বাড়ি’ কর্মসূচিতে ব্যবহার করা বেআইনি বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।’