কলকাতাদেশশিক্ষা-কর্মজীবনহেডলাইন
জাতীয় শিক্ষা নীতিতে রাজ্যকে ভুল প্রমাণিত করল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার

অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণার পর থেকেই কেন্দ্রের ‘এক তরফা ঘোষনা’ বলে বিরোধিতায় সরব হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রীগেড। দফায় দফায় রাজ্য জুড়ে বিরোধিতার পারদ চরিয়েছে। কিন্তু রাজ্যের সেই দাবিকে এবার ভুল প্রমাণিত করে দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে সব রাজ্যের রাজ্যপাল, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবদের ভার্চুয়াল বৈঠক। এমনকি স্বয়ং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও এই বৈঠকে অংশ গ্রহণ করবেন।
সোমবার জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে বৈঠকে যোগ দেবেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। শনিবার শিক্ষক দিবসের এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে একথা জানান খোদ শিক্ষামন্ত্রী নিজে। বৈঠকে নজিরবিহীনভাবে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন প্রতি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে। যদিও মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত না থাকলেও রাজ্যের রাজ্যপালের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে। এই বৈঠকের পরই জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। কার্যত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ওঠা এত দিনের অপপ্রচাররের এবার অবসান হল। কেন্দ্র কোনও এক তরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। সব রাজ্যের সঙ্গে কথা বলেই জাতীয় শিক্ষা নীতি বলবত করা হবে দেশে। এমত অবস্থায় নতুন এই শিক্ষানীতি প্রণয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার সব রাজ্যের সঙ্গে কথা বলতে চাইছে। এই বৈঠকে প্রত্যেক রাজ্য তাদের মতামত জানানোর সুযোগ পাবেন। থাকবেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। তারপরে সব রাজ্যের সুপারিশ মেনেই যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে নীতিতে বদল আনা হবে। সূত্রের খবর, কেন্দ্র চায় জিএসটির মতই ঐক্যমত্যে গিয়ে এই শিক্ষানীতি লাগু করতে। তাতে সারা দেশের পড়ুয়াদেরই মঙ্গল হবে। সেই লক্ষ্যেই এই বিশেষ বৈঠক।
তবে রাজ্যের তরফে শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘পড়ুয়াদের অসুবিধা হয়, এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। শিক্ষার মত বিষয় যৌথ কর্মকান্ড হলেও এই নীতি ঘোষণা করার আগে রাজ্যের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা করা হয়নি। ফলে এই নিয়ে কেন্দ্রের সব সুপারিশ মানা সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয় একাধিক রাজ্য এই নীতি নিয়ে তাদের সমস্যার কথা কেন্দ্রকে জানিয়েছে।’ উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফ থেকে এই জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে এক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুপারিশও জমা দিয়েছে। সেখানে অনেকগুলি বিষয় রাজ্যের মানা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।