হাসপাতালে মুক ও বধির নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল

কৃষ্ণা দাস, শিলিগুড়ি: চা বাগানে শারীরিক নিগ্রহের শিকার হওয়া মুক ও বধির আদিবাসী যুবতীকে মঙ্গলবারও দেখতে দেওয়া হল না বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পলকে। আগে থেকেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বিশাল পুলিশ বাহিনি মোতায়েন ছিল। ঠিক একইভাবে সোমবার রাতেও সভানেত্রী নির্যাতিতা যুবতীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তখনও তার পথ আটকায় পুলিশ প্রশাসন। মঙ্গলবার কলকাতা ফিরে যাবার আগে ফের একবার তিনি নির্যাতিতা যুবতীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাকে নির্যাতিতা যুবতীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় না।
সম্প্রতি চা বাগানের এক আদিবাসী মুক ও বধীর যুবতীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে শারীরিকবাবে নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তী করা হয়। সোমবার বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে আসেন। রায়গঞ্জের কর্মসূচি পালনের পর রাতে তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। কিন্তু তার পথ আটকে দেয় পুলিশ। মঙ্গলবার রাজগঞ্জ ব্লকের সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের মাদ্রাসা স্কুলের নাবালিকা ছাত্রীকে লাগতার শারীরিক নিগ্রহের পর তাকে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে রাখার অভিযোগ ওঠে। মৃতা ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান নেত্রী। দীর্ঘক্ষন পরিবারের সাথে বসে কথা বলেন তিনি। এরপর তিনি অভিযোগ করেন, নাবালিকা ছাত্রীর সাথে যারা এরকম ঘৃণ্য আচরন করেছে তাদের মধ্যে একজন এখনও অধরা। তিনজনকে গ্রেফতার করলেও বাকি আরও একজনকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঠিকমতো চার্জ সীট না দিলে বিজেপি মহিলা ও যুব মোর্চা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
এদিনই তিনি কলকাতা ফিরে যাবার আগে ফের একবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গিয়ে চা বাগানের মুক ও বধীর নির্যাতিতাকে দেখতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন।
তিনি বলেন, “আমার মনে হল কিছু হয়ত লুকোবার চেষ্টা করা হচ্ছে। নির্যাতিতা মুক ও বধির সে কিছু বলতে না পারলেও মা বাবা কিছু বলবে। হয়তো তা সরকারের ক্ষেত্রে অপ্রীতিকর হবে। কিংবা নাড্ডা জী ৩০০ কোটি টাকা হাসপাতালের উন্নয়নে দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো উন্নয়ন হয় নি। ভেতরে গিয়ে হাসপাতালের ভেতরের ছবিটা না দেখতে পাই তাই হয়ত আমাকে আটকাচ্ছে। ” তবে দুদিন পর মেয়েটি যখন বাড়ি যাবে তখন তিনি ফের আসবেন বলে জানান। নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা তিনি করবেনই। কেউ তাকে থামতে পারবে না বলে ফিরে যাবার আগে হুঁশিয়ারী দিয়ে গেলেন বিজেপি সভানেত্রী।