‘এটা তৃণমূলের বিদায় রজনীর যজ্ঞ’, তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন বিজেপির নেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্য

তারক হরি, পশ্চিম মেদিনীপুর: শনিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরায় বিজেপির একটি সাংগঠনিক স্তরের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্য। তিনি এই দিন ডেবরার পার্টি অফিস থেকে শাসক শ্রেণীকে এক হাতে নিয়ে মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ ছুঁড়লেন।
সম্প্রতি পিংলায় মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র’র গড়ে কিছু ব্রাহ্মণরা একত্রিত হয়ে যাগ-যজ্ঞ করেছেন, তা সে শুভেন্দু বাবুর দলে ফিরে আসার জন্য মঙ্গল কামনায় হোক বা শাসকশ্রেণীর আগামী বিধানসভা জয়ের উদ্দেশ্যেই হোক, পিংলায় এই ব্রাহ্মণদের সমবেত হয়ে যজ্ঞ করার এই ঘটনাকে রীতিমতো কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভানেত্রী। পিংলায় ব্রাহ্মণরা কি কারনে যজ্ঞ করলেন, তা বুঝতে পারেননি সৌমেন মহাপাত্র। তৃণমূলের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের জন্যই করা হয়েছে এই যজ্ঞ। এভাবেই তিনি মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র কে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন।
বিজেপির সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “সৌমেনবাবু তো বুঝতে পারছেন না পুরোহিতরা কি যজ্ঞ করলেন, তৃণমূলের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করলেন নাকি তৃণমূলকে আগামী বিধানসভা ভোটে নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য যজ্ঞ করলেন। আদতে তিনি নিজেই বুঝতে পারলেন না, ব্রাহ্মণরা কিসের জন্য যজ্ঞ করলেন। এক হাজার টাকা ভাতা দিয়ে তৃণমূল ব্রাহ্মণদের মন জয় করার নিছক ছল এবং তাঁরা ভাবলেন যে আমরা চিরস্থায়ী ! আদতে এই সব যাগ-যজ্ঞ করে কিছুই হবে না। এটা সবাই জানেন। এটা তৃণমূলের বিদায় রজনীর শেষ যজ্ঞ হয়েছিল।”
এদিন তিনি ডেবরায় দলীয় কর্মীদের আগামী ভোটের লড়াইকে সামনে রেখে দলীয় কর্মীদের কর্মসূচি কি হবে সে বিষয়ে আলোচনা করেন এবং সাংগঠনিক কাজে দলীয় কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতেই এ দিনের বৈঠক বলে দলীয় সূত্রে খবর।