পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন
ব্যারাকপুরে তৃণমূলকে শূন্য করে দেব, ব্যারাকপুরে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দাবি অর্জুনের

অলোক কুমার ঘোষ, ব্যারাকপুর: “ব্যারাকপুর লোকসভার অন্তর্গত ৭ টি বিধানসভা আসনেই বিজেপি প্রার্থীরা জিতবে । ৭/০ আসনে তৃণমূল হারবে । ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলকে শূন্য করে দেব । তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি নেই, তাই পুলিশের সাহায্যে দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে আমার বাড়িতে হামলা করছে, বোম মারছে । রাতে সি আই এস এফের উপর হামলা করেছে। কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে ? যতদিন যাচ্ছে তত জন সমর্থন হারাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস । পিকে ব্যবসা করতে এসেছে, ও মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দলকে বাঁচাতে পারবে না । এখানে পুলিশ ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাসাচ্ছে । হেনস্থা করছে । আমরা আর অন্যায় সহ্য করব না, তাই ব্যারাকপুর মহকুমা প্রশাসকের পদ একটি সাংবিধানিক পদ, তার দপ্তরের সামনে আমরা সমাবেশ করছি, ধর্না দিচ্ছি, প্রশাসনকে বলছি নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে কাজ করুন । তৃণমূল কংগ্রেস সরকার বেশিদিন স্থায়ী হবে না। এই সরকার চলে যাবে ।”
ব্যারাকপুরে এস এন ব্যানার্জি রোডে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এভাবেই প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং । তিনি আরো বলেন, “এই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে দুষ্কৃতীদের মাধ্যমে গাঁজা, হেরোইন বিক্রি করছে । সেই ভিডিও ফুটেজ আমার কাছে আছে । মিথ্যা মামলায় জেলে ভরা হচ্ছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিজেপি কর্মীদের । এই শিল্পাঞ্চলের বিজেপি কর্মীদের উপর এত মিথ্যা মাদক পাচারের কেস দেওয়া হচ্ছে, যে রাজ্যে সেই পরিমাণ গাঁজার চাষ হয় না । প্রশাসনের কাছে জানতে চাই রাজ্যের থানা গুলোতে এত গাঁজা আসছে কোথা থেকে? “
ব্যারাকপুর প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে মঞ্চ বাঁধতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাংসদ অর্জুন সিং । তিনি জানান, “প্রথমে মঞ্চ তৈরি করতে দেওয়া হয় নি । তবে আন্দোলন থেকে আমরা পিছু হটে যায় নি । কোনরকমে কষ্ট করে মঞ্চ বেঁধেই আমরা দলীয় কর্মসূচি পালন করছি । দলের পদাধিকারীরা মহকুমা প্রশাসকের কাছে এদিন স্মারকলিপি প্রদান করে আমাদের দাবি জানিয়েছেন ।”