সুজয় অধিকারী : ‘আর কত ধৈর্য ধরব? এনাফ ইজ এনাফ’, বলে কলকাতার মেয়র নিজের দোষ ঢাকার চেষ্টা করলেন। এবার নিজের এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকার কারণে সিইএসসি’কে চাপে রাখলেন কলকাতা পুরসভার ৯৫ ওয়ার্ডের বিজেপি নেতা দিলীপ চন্দ।
তিনি সি.ই.এস.সি-কে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যদি ৯৫নং ওয়ার্ডের পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক না হয়, তাহলে ওয়ার্ডের মানুষদের নিয়ে পথ অবরোধ করে, সরকারি সবরকম কাজ অচল করে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ‘তৃনমুলের লোকাল কাউন্সিলার ৯৫ নং ওয়ার্ডে কোনো কাজই করেনি। এলাকার সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে ব্যার্থ ,পর পর পাঁচদিন কেটে গেলে কিন্তু এখনও এলাকার বেশিরভাগ বাড়িতেই আসেনি বিদ্যুৎ। ”
অস্বস্তি যত বাড়ছে, বিক্ষোভে ততই ফেটে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। দিলীপবাবু সহ ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষদের থেকে জানা গেছে, গত ২০মে ঝড় থেমে যাওয়ার পরে রাত থেকেই দিলীপ বাবু নেমে পড়েন উদ্ধারের কাজে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খাবার, জল নিয়ে এলাকার মানুষের কাছে ছুটে গেছেন দিলীপ চন্দ। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্যুতের দাবিতে চলে অবরোধ আর বিক্ষোভ। তিনি সোমবার সিইএসসি-র বেশ কয়েকজন আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলতে বলতে ধৈর্য্য হারিয়ে ফিরহাদের মতোই বলেন, “এনাফ ইজ এনাফ। এখনও বহু মানুষ বিদ্যুৎ পাননি। আর কত ধৈর্য ধরব?”
দিলীপের ভাষায়; ৯৫ ওয়ার্ডের কাউন্সিলার এলাকার মানুষকে পরিষেবা দিতে ব্যার্থ, এখুনি পদত্যাগ করা উচিত, তা না হলে আগামী পৌরসভা ভোটেই ৯৫নং ওয়ার্ডের মানুষরাই উচিত শিক্ষা দিয়ে তাড়িয়ে দেবে।”
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সিইএসসি-কে লোকবল বাড়ানোরও পরামর্শ দেন দিলিপ । অন্যদিকে সিইএসসি-র তরফ থেকে জানা গেছে, আর মাত্র একদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
১৩৩ কিমি বেগে শহরের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে আমফান। তছনছ হয়ে গেছে গোটা রাজ্য। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ৯৫ ওয়ার্ডের মধ্যে একাধিক জায়গায় গাছ লাগাতেও চান দিলিপ। যাতে এই মহা প্রলয়ের ক্ষতি থেকে কিছুটা হলেও উপকার হয়। তিনি নিজেকে মোদী ভক্ত বিজেপি-র একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দাবি করেন।