পাহাড় থেকে জঙ্গলে ফুটবে পদ্ম: দিলীপ ঘোষ

ইন্দ্রানী দাশগুপ্ত, নয়াদিল্লি: পাহাড় থেকে জঙ্গলমহল ২০২১-এ দুশোটিরও বেশি বিধানসভা আসন ফুটবে পদ্ম ফুল বলে দাবি করলেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ।
তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রে এই প্রথম কোনও সরকার এসেছে যারা গরীব মানুষের কথা বলে ভাবে । ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সমাজের পিছিয়ে পড়া জায়গাগুলোকে উন্নয়নের আলোতে আনার জন্য সুলভ শৌচালয় থেকে শুরু করে গরিব মানুষের একাউন্টে টাকা দেওয়া পর্যন্ত এ একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। তৃণমূল সরকারের মারাত্মক বিরোধিতা সত্বেও যে কয়েকটি যোজনার সুবিধা বাংলা পাচ্ছে তাতে প্রচন্ড ভাবে উপকৃত হয়েছে বাঙলার গরিব মানুষ । আয়ুষ্মান যোজনা কৃষক সম্মান নিধি সহ অন্যান্য যে যোজনা গুলির সুযোগ তৃণমূল সরকারের নোংরা রাজনীতির জন্য বাংলার মানুষ পেল না তার জবাব পাহাড় জঙ্গলমহল লের মতো স্পর্শকাতর অংশে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষেরা লোকসভার মতই বিধানসভায় ভোট বাক্সে দেবেন বলেই আমার বিশ্বাস।
দিলীপবাবু বলেন, পাহাড় এবং জঙ্গলমহলের সমস্যার মূল কেন্দ্রবিন্দু হল অউন্নয়ন । বিগত ৩৪ বছরের বাম শাসন এবং তারপরে তৃণমূলের শাসনে এরা শুধু প্রতিশ্রুতি পেয়েছে । এই অঞ্চলে রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ মানুষের জীবনযাত্রা সর্বত্রই স্পষ্ট পিছিয়ে পড়ার ছাপ সুস্পষ্ট। এই অঞ্চলের মানুষেরা কর্মহীনতা শিক্ষাহীনতা স্বাস্থ্যহীনতা সহ একাধিক সমস্যায় জর্জরিত। প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ার কারণে রাস্তাঘাট বাড়িঘর স্কুল কলেজ কারখানা হাসপাতাল যেএকাধিক উন্নয়ন হওয়ার কথা সেগুলো সবই স্তব্ধ হয়ে আছে । বাম এবং তৃণমূল সরকার উভয় এই বিষয়ে ভোটের আগে ঝুড়িঝুড়ি প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করেনি। এই রাজনৈতিক দলগুলো ওই অঞ্চলে বেশ কিছু মানুষকে নিজেদের স্বার্থপর দলদাস তৈরি করেছে। যারা মানুষকে ভুল বুঝিয়ে শুধু ভোটের রাজনীতির কাজটা করেন ।
বাম সরকারের আমলে যেমন পিছিয়ে ছিল এরা তেমনি তৃণমূল সরকার এদের ঝুড়ি ঝুড়ি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় গেলেও আসলে তাহারও জঙ্গলমহল দুটোই অন্ধকারে ডুবে থেকেছে । অথচ এই অঞ্চলগুলিতে পর্যটন থেকে শুরু করে হাজারো রকম শিল্প সম্ভাবনা আছে । কারণ এই অঞ্চলের মানুষেরা অত্যন্ত মেহনতী তাদের যদি সঠিকভাবে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা যায় তাহলে আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে তাদের কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে দুটি শাসক দল এদের শুধু রাজনৈতিক পাশাখেলার অঙ্গ করে রেখেছেন তার জন্যই আজো এই অঞ্চলগুলো মারাত্মক স্পর্শ কাতর ।তবে এই অঞ্চলের মানুষেরা এখন কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের সমস্ত কাজকর্ম দেখছেন তারা এটা বুঝতে পারছেন বিজেপি শুধু কথা দেয় না করেও দেখায় ।যা যা বলে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছিল তার সবগুলি প্রায় পূরণ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এবং মোদি সরকারের উজ্জল যোজনা গ্যাস বিনা পয়সায় গ্যাস প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রত্যেকের মাথার উপর ছাদ স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রত্যেকের বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণ গরিব কল্যাণ যোজনার অন্তর্গত ফ্রী রেশন ব্যবস্থা জনধন যোজনা মাধ্যমে 500 টাকা করে একাউন্টের প্রেরণ সহ বহু যোজনার সুবিধা ইতিমধ্যেই পেয়েছেন এই অঞ্চল গুলির প্রান্তিক মানুষেরা । তারপরে লোকসভায় এই অঞ্চলের মানুষেরা দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন বিজেপি প্রার্থীদের ।
কিন্তু শাসক দল বর্তমানে আবার এই অঞ্চলগুলিতে অশান্তি তৈরি করার জন্য নতুন নতুন নোংরামো ষড়যন্ত্রের জাল বুনে এই অঞ্চলগুলোকে পুনরায় অশান্ত করার চেষ্টা করছে ।রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার ফলে আয়ুষ্মান ভারতের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বীমা, প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি যোজনা মতো একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না আপামর পশ্চিমবঙ্গবাসী। কিন্তু কাহারো জঙ্গলমহলের পিছিয়ে পড়া মানুষদের এই প্রকল্পগুলির প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি । এছাড়াও পরিযায়ী শ্রমিকদের তালিকা না পাঠানোর কারণে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলা বঞ্চিত হচ্ছেন এরা। সেই কারণে এদের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিকাঠামো উন্নয়ন ঘটানোর জন্য অবশ্যই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যে দল সারাদেশে প্রতিশ্রুতি মত কাজ করে দেখাচ্ছে তাদেরকেই অর্থাৎ আমাদের বিজেপিকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন বলেই আমার বিশ্বাস।