লকডাউনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণ মিথ্যা প্রচার: রাহুল
রক্তিম দাশ, কলকাতা: ব্যাপক সর্তকতার পরেও লকডাউনের মধ্যে দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাবৃদ্ধির পিছনে মিথ্যা প্রচারকে দায়ি করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিনাহা। তাঁর মতে, দেশজুড়ে কেন্দ্রের নির্দেশ মতো লকডাউন যদি একশো শতাংশ মানা হতো তাহলে আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাম টানা সম্ভব হতো।
শনিবার যুগশঙ্খকে রাহুল সিনাহা বলেন, ‘লকডাউন চলাকালীন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে দেশজুড়ে। ভারতের মতো জনঘণত্বের দেশে সংখ্যা বাড়বেই। মোদিজি যদি ঠিক সময় লকডাউন করেছিলেন। না হলে এই আক্রান্তের সংখ্যাটা ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ হয়ে যেত।’
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সুস্থ হওয়ার সংখ্যাটাও ভালোর দিকে বলেই মনে করেন রাহুলবাবু। তিনি বলেন,‘ এত কিছুর মধ্যেও আশার আলো আছে। করোনা থেকে সুস্থ্য হওয়ার পরিসংখ্যানে বিশ্বের মধ্যে একনম্বরে অবস্থান করছি আমরা। আমাদের এখানে সুস্থ্য হচ্ছে গড়ে ৩৫ শতাংশ আক্রান্ত মানুষ।’
লকডাউনের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে রাহুল সিনাহা মিথ্যা প্রচারকে দায়ি করে বলেন,‘ সংক্রমণ বাড়ার কারণ তবলীগিরা। তাঁদের কারণে বিশেষ বিশেষ এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এর পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট গোষ্টির ধর্মগুরুরা এবিষয়টি প্রথমে হালকা করে নিয়েছিলেন। তাঁদের ভুল বক্তব্যেও লকডাউন না মানার প্রবনতা তৈরি হয়েছিল। এর পাশাপাশি ছিল লকডাউন নিয়ে মিথ্যা প্রচার। দেশের বিভিন্ন এলাকায় মিথ্যা প্রচার করে পরিযায়ী শ্রমিকদের উসকে দিয়ে রাস্তায় বের করে দেওয়া হয়েছিল। আর ছিল সচেতনতার অভাব। তাই কেন্দ্রীয় সরকার এত প্রচার করার পরেও সংক্রমণকে আটকানো যায়নি।’
সারা দেশে করোনা এখনও ভয়ঙ্কর রূপ নেয়নি বলেই মনে করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘সারা দেশে নয়, কয়েকটি রাজ্যে পরিস্থিতি খারাপের দিকে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলগুলোতে। গ্রামগুলি কিন্তু এখন করোনা সংক্রমণের হার কম। বাংলা,দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, রাজস্থানে বাড়ছে। এই রাজ্যগুলোতেও দেখা যাবে জনঘনত্ব, নির্দিষ্ট একটি গোষ্টির সচেতনতার অভাব। এর পাশাপাশি বাংলার ক্ষেত্রে এগুলোতো আছেই তার সঙ্গে আছে ব্যাপক হারে করোনা পরীক্ষা না করা। রাজ্যের বাইরে থেকে প্রথম দুটি ট্রেন কেরল ও আজমীর থেকে এল যেটা তীর্থযাত্রীদের নিয়ে এল তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছিল? রাজস্থানের কোটা থেকে যে ছাত্রদের আনা হয়েছিল তাঁদেরও কি রাখা হয়েছিল কোয়ারেন্টাইনে? এসব কারণেই করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। দেশের অন্য রাজ্যগুলোতে বিধিনিষেধ মানা হয়েছিল ঠিকঠাক ভাবে তাই তারা বিপদমুক্ত হচ্ছে। আর আমাদের রাজ্যে বাড়ছে।’