তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার আহ্বান কাশেম আলীর

শ্যামল কান্তি বিশ্বাস, রানাঘাট: তৃণমূলের সীমাহীন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার আহ্বান কাশেম আলীর।রবিবার চাকদহ ১২ নং ওয়ার্ডে বিজেপির জনসভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমন হানলেন বিজেপি সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সহ সভাপতি কাশেম আলী। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্যনেত্রী তথা নদিয়ার সোনার মেয়ে, প্রাক্তন সাংসদ জ্যোতির্ময়ী সিকদার সহ চাকদহের আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ। কাশেম আলী আর ভাষনের রাজ্যের শাসক তৃণমূল সরকারের সংখ্যালঘুদের প্রতি তুষ্টিকরণ সহ তোষণের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “বাংলার মুসলমান সমাজকে বোকা বানিয়ে দিদিমনি মুসলিমদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাচ্ছেন, তুষ্টিকরণ করে সাময়িক লাভবান হওয়া যায় ঠিকই কিন্তু জাতি তথা সমাজের কোন উন্নয়ন সংগঠিত হয় কি”?
মুসলিম তথা সংখ্যালঘু সমাজকে পঙ্গু করে রাখার এক গভীর চক্রান্ত বলে দাবি কাশেম আলীর। তিনি আরও বলেন, “রাজ্যে একের পর এক কল কারখানা বন্ধ, রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা কাজ না পেয়ে ভিন রাজ্যে যেতে বাধ্য হচ্ছে,আর তখন গায়ে লাগছে পরিযায়ী শ্রমিকদের তকমা,আর দিদিমনি এদিকে আওয়াজ তুলছেন,রাজ্যে আমি কর্মসংস্থানের সব ব্যবস্থা করে দিয়েছি।যে সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের উপর ভর করে তাদেরকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিদিমনির মা মাটি মানুষের সরকার ক্ষমতায় এসেছিল,সেই সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রাম আজ গুঙড়ে গুঙড়ে কাঁদছে, এলাকার মানুষ আজ না খেয়ে মরছে। দিদিমনি,এর পরেও বলবে, রাজ্যে উন্নয়ন হয়েছে,এর প্রকৃত জবাব আসন্ন ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যদিয়ে পাবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী”।
তিনি তোপ দাগেন আমফান ক্ষতিপূণ দূর্নীতি নিয়েও।বলেন, “দিদির অনুপ্রেরণায় তার আদরের ভাইয়েরা আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের সব অনুদানের টাকা মেরে দিল, দিদিমনি এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিলেন না, দিদিমনি এখন আবার শুনছি, পুরোহিতদের ভাতা চালু করেছেন, সেখানেও বৈষম্য!যখন মুসলিম মৌলবিদের ভাতা চালু করলেন,তখন কেন একই সঙ্গে হিন্দু পুরোহিত দের ভাতা চালু করলেন না? প্রশ্ন তোলেন কাশেম।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন কে দলদাসে পরিনত করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা আজ তলানিতে ঠেকেছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কন্ঠরোধ করে গনতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে।এর বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার আহ্বান জানান বিজেপি সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সহসভাপতি কাশেম আলী।