বাঙালির আনন্দকে ছোট করার মূল কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: বিজেপি সাংসদ

অভিষেক আচার্য, কল্যাণী: বাঙালির আনন্দকে ছোট করার মূল কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নদীয়ার কল্যানীর গয়েশপুরে এক বইয়ের স্টল উদ্বোধন করতে এসে একথা জানালেন রানাঘাট লোকসভার বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
দর্শক শূন্যই থাকছে এবারের পুজো মণ্ডপ। আগের রায়েই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। দেওয়া হল না সিঁদুর খেলা ও অঞ্জলির অনুমতি। রাজ্যের প্রতিটি পুজো মণ্ডপ দর্শকশূন্য থাকবে বলে সোমবারই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পুজো-রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করে পুজো উদ্যোক্তাদের ফোরাম। সেই রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জিতে সামান্য ছাড় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জানানো হয়েছে, নো এন্ট্রি জোনে রাখা যাবে ঢাকিদের। তবে সেক্ষেত্রে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। নয়া নির্দেশ অনুযায়ী, বড় মণ্ডপে প্রবেশের জন্য ৬০ জনের তালিকা তৈরি করা যাবে। তবে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪৫ জন প্রবেশ করতে পারবেন। আগে ২৫ জনকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। একইভাবে ছোটো মণ্ডপে ১৫ জনের তালিকা তৈরি করা যাবে। একসঙ্গে ১০ জনের বেশি মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না।
পাশাপাশি উদ্যোক্তারা ছাড়া মণ্ডপে স্থানীয়দের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল আটটার মধ্যে সেই তালিকা তৈরি করতে হবে। তবে আগের কড়া নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে হাইকোর্ট জানিয়েছে, প্রতিদিন সেই তালিকা পরিবর্তন করা যাবে। আগে সেই অনুমতি দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ।
পাশাপাশি জগন্নাথবাবু পুজো ছোট হওয়ার কারণ মমতার সরকারকেই দুষছেন তিনি। সাংসদ বলেন, ” পুজোর আনন্দকে ছোট করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”