সাবওয়ে তৈরীর কাজ খতিয়ে দেখলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু

মিল্টন পাল, মালদা: দীর্ঘ দিনের সমস্যা মালদার রথবাড়ি এবং মালঞ্চ পল্লী এলাকার রেল লাইন পারাপার। শনিবার সেই সাবওয়ে তৈরীর কাজ খতিয়ে দেখলেন উত্তর মালদা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। এদিন সকালে তিনি শহরের রথবাড়ি এলাকায় বুড়াবুড়ি তলা এবং তার পাশাপাশি মালঞ্চপল্লী সাবওয়ে তৈরীর কাজ খতিয়ে দেখেন। সরেজমিনে খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কর্তব্যরত ইঞ্জিনিয়ার এবং ঠিকাদার সংস্থার সাথে কথা বলেন।
পাশাপাশি তিনি জিনিসপত্রের গণগত মান ক্ষতিয়ে দেখেন। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে এই সাবওয়ে তৈরীর কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেও তিনি আসা প্রকাশ করেন। মালদা জেলার প্রাণকেন্দ্র রথবাড়ি এলাকা। মূলত বুড়াবুড়িতলা, সানি পার্ক রিজেন্ট পার্ক সহ মানিকচক থানা এলাকার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই রথবাড়ি রেলগেট। কিন্তু অফিস স্কুল বা জরুরি অবস্থায় রেলগেট পড়ে থাকলে সমস্যায় পড়তে হতো এই সমস্ত এলাকার মানুষদের। যার ফলে সঠিক সময়ে স্কুল কলেজ বা কোন কাজে যোগ দেওয়া যেত না। এলাকার মানুষেরা দীর্ঘদিন ধরে এই রেলগেটের পরিবর্তে সাবওয়ে তৈরির জন্য বারবার রাজ্য থেকে কেন্দ্র ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছেন। বহুবার ওই এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা সাবওয়ে তৈরীর উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।যার ফলে দিন দিন সমস্যা চরম আকার নিয়েছিল।
এহেন পরিস্থিতিতে ২০১৯ সালের উত্তর উত্তর মালদা কেন্দ্রে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু জয়ী হন।এরপর থেকে তড়িঘড়ি মালদার বুড়াবুড়িতলা ও মালঞ্চ পল্লী এলাকায় সাবওয়ে তৈরীর উদ্যোগ নেন।সেইমতো চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এই দুইটি সাবওয়ে তৈরির কাজ শুরু হয়। যদিও সেই সাবওয়ে তৈরির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে। সম্প্রতি করোনা সংক্রমনের জেরেপর্যাপ্ত শ্রমিক না থাকার কারণে ধীরগতিতে চলছে এই সবওয়ে তৈরির কাজ।আর সেই কাজ খতিয়ে দেখতে এদিন সরোজমিনে দুইটি এলাকায় নির্মাণ কাজ খতিয়ে দেখতে আসেন সাংসদ।
বিজেপি সংসদ খগেন মুর্মু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, মালদা শহর বাসির দীর্ঘদিনের দাবি ছিল রথবাড়ি এবং মালঞ্চ পল্লী এলাকায় সাবওয়ে তৈরির। মালঞ্চপল্লী সাবওয়ে তৈরীর কাজ প্রায় শেষ কিন্তু বুড়াবুড়ি তলা এলাকায় সাবওয়ে তৈরির কাজ চলছে আগামী বছর জানুয়ারি মাসের মধ্যেই উদ্বোধন করা হবে। তার পাশাপাশি তিনি আরো জানান যে সকল সামগ্রী সাবওয়ে তৈরীতে ব্যবহার করা হচ্ছে তার গুণগতমানও খতিয়ে দেখা হয়েছে কারণ দুই পাশে রয়েছে বাড়ি এবং ওভার ব্রিজ। যাতে কোনোভাবেই সেগুলি ক্ষতির মুখে না পড়ে। করোণা আবহের কারণে কাজ একটু ধীর গতিতে চলছে। দ্রুত যাতে কাজ শেষ করা হয় সে বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। যাতে মানুষ কোনভাবেই সমস্যায় না পড়ে।