বেআইনিভাবে দিঘির জমি রেজিস্ট্রি করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, প্রতিবাদে বিজেপি
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট: দিঘি সংস্কারের কাজ শুরু হতেই তপনে রাতারাতি সমপরিমাণে ১০ তৃণমূল নেতার নামে জমির রেকর্ড বের হয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রাচীনতম দিঘির পার্শ্ববর্তী এলাকা তৃণমূল নেতাদের নামে এমন রহস্যজনক ভাবে রেজিস্ট্রি হওয়ার ঘটনার তদন্ত চেয়ে আন্দোলনে নামল বিজেপি দল। শুক্রবার সংগঠনের তরফে তপন দিঘির পাড়ে বিভিন্ন তৃণমূল নেতা ও তার আত্মীয়দের নামের প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বেশ কিছু নেতাকর্মীরা। এদিনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায়, মন্ডল সভাপতি অপূর্ব সরকার, বিদ্যুৎ বর্মন সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। তৃণমূল নেতাদের হাত থেকে ঐতিহ্যবাহী দিঘিকে রক্ষা করবার জোড়ালো দাবিও জানানো হয়েছে এদিনের আন্দোলনের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: অ্যানাকোন্ডার সংসারে নতুন অতিথি খুশির হাওয়া আলিপুর চিড়িয়াখানায়
সংগঠনের দাবি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাসদার আপ্তসহায়ক, বিধায়ক গৌতম দাসের আত্মীয়, তপন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজু দাসের ভাই, সহ সভাপতি তাপস মন্ডল সহ অন্যান্য তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের নামে অন্যায়ভাবে দিঘির জায়গা রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। এতদিন যে জমি দিঘির অংশ হিসাবে সকলে জানতো রাতারাতি তা কি করে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হল তা নিয়েই রহস্য রয়েছে। যার সত্য উদঘাটন করতে জেলা জুড়ে বিজেপি লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তপন দিঘি নতুন ভাবে সাজিয়ে তুলতে সংস্কারে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। ৮৩ একর জায়গায় অবস্থিত দিঘি সংস্কারের জন্য রাজ্য মৎস্য দফতর প্রায় ৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। মেদিনীপুরের এক ঠিকাদার সংস্থা ওই কাজও শুরু করে। অভিযোগ কাজ শুরু হতেই দিঘির পার্শ্ববর্তী কিছু জায়গা তৃণমূল নেতারা রাতারাতি তাদের নামে রেজিস্ট্রি করিয়ে নিয়েছেন। যা আগে দিঘির অংশ বলেই জানা ছিল সকলের বলে দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ। যার প্রতিবাদেই শুক্রবার থেকে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি নেতৃত্বরা।
আরও পড়ুন:হরিচাঁদ ঠাকুরের নামে অশালীন পোস্ট, উত্তেজনা…দুর্গাপুরে পুলিশের কাছে ডেপুটেশন মতুয়াদের
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় জানিয়েছেন, আমরা সকলে এতদিন যে জায়গা দিঘির অংশ বলে জানতাম হঠাৎ করে তৃণমূলের একাংশ ওই সম্পত্তি নিজেদের নামে রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন। সম্পূর্ণ রহস্যজনক এই ঘটনায় দুর্নীতির ছায়া স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্বরা। সঠিক তদন্ত করতেই নেতা ও তাদের আত্মীয়দের নামের প্ল্যাকার্ড নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। তারা চান এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত।