পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন
দক্ষিণেশ্বর মন্দির সংলগ্ন হোটেলগুলিতে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে বিজেপির বিক্ষোভ

অলোক কুমার ঘোষ, ব্যারাকপুর: উত্তর ২৪ পরগনার বিখ্যাত দক্ষিণেশ্বর মন্দির সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন হোটেল ও গেস্ট হাউসে পুলিশ ও রাজ্যের শাসক দলের একাংশের নেতাদের মদতে চলছে দেহব্যবসা, এমনি অভিযোগ দক্ষিণেশ্বর এলাকার স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের । অবিলম্বে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি মন্দির সংলগ্ন হোটেল গুলি থেকে এই অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে, এই দাবিতে মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের বাইরে হোটেল চত্বরে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মীরা । এদিন শতাধিক বিজেপি কর্মীরা দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বরের বাইরে স্থানীয় হোটেল চত্বর এলাকায় সারিবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ।
রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই এলাকার কিছু তৃণমূল নেতা ও পুলিশের যোগ সাজোশে পবিত্র দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বর এখন অপবিত্র হয়ে উঠছে । এলাকার মানুষজন তৃণমূল নেতাদের ভয়ে মুখ খুলতে ভয় পায় । তারা সব জানেন । আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশে আছি । আমাদের ভয় পেলে চলবে না । আমরা আজকে প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়ে জানাচ্ছি বিষয়টি । এরপরও যদি এই পবিত্র স্থানে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ না হয় আমরা বিজেপি কর্মীরা আগামী সপ্তাহে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করব । আমরা পুলিশকে বলছি আগামী দিনে বিজেপির আন্দোলনে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা যোগ দিয়ে কোন হোটেলে ভাঙচুর করলে তার দায় আমরা নেব না ।”
প্রায় দুই ঘণ্টা দক্ষিণেশ্বর মন্দির সংলগ্ন হোটেল চত্বরে মঙ্গলবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন শতাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থকরা । তবে বিজেপির এই অভিযোগ অসত্য ও মিথ্যা বলে দাবি করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব । কামারহাটি পুরসভার পৌর প্রশাসক গোপাল সাহা বলেন, “বিজেপির হাতে এখন কোন রাজনৈতিক ইস্যু নেই তাই এসব মিথ্যা অভিযোগ করছেন । এসব অভিযোগের সত্যতা নেই । প্রশাসন সব সময় সজাগ আছে, দক্ষিণেশ্বর মন্দির এলাকাকে বিজেপি কর্মীরা অশান্ত করতে চাইছে, মানুষ সব দেখতে পাচ্ছে । ওদের অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দেবে বাংলার মানুষ ।”