fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

বাংলায় গণতন্ত্র খুঁজতে দূরবীন লাগবে, মমতাকে তোপ দিলীপের

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাংলায় গণতন্ত্র খুঁজতে দূরবীন লাগবে। শুক্রবার কলকাতায় গান্ধি মূর্তির নিচে ‘ বাংলা বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও’ কর্মসূচির মঞ্চ থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন।

এদিন তিনি বলেন, ‘ স্বাধীনতার ৭০ বছর পর একটা গণতান্ত্রিক দেশের একটি রাজ্যে গণতন্ত্রকে বাচাঁনোর জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। এটাই দুর্ভাগ্যের। ঘটনা হলো রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই কর্মসূচি পালনে পুলিশ বাধা দিচ্ছে। অনেক জায়গায় ধর্না মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ডেকরেটার কর্মী, দলীয় কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকে এখনও পর্যন্ত শতাধিক বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। সিপিএমের আমলে মেরে মাটিতে পুঁতে দিতো। তৃণমূলের আমলে ‘ টেকনিক’ একটু বদলেছে। এরা গাছে ঝুলিয়ে দিচ্ছে। আর ময়নাতদন্তের আগেই বলে দিচ্ছে আত্মহত্যা। পাহাড় থেকে সাগর কোথাও বাকি নেই। উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জে পরশুদিন আমাদের এক কর্মীকে মিথ্যা কেসে থানায় নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেললো। বাড়ির লোক জানতে পারলো না, ময়না তদন্ত হয়ে গেল। আমাদের হেমতাবাদের বিধায়ক ভালো করে হাঁটতে পারেন না। তিনি ২ কিলোমিটার হেঁটে ঝড়বৃষ্টির রাতে গাছে ঝুলে আত্মহত্যা করলেন। এটা বিশ্বাসযোগ্য?’

তিনি বলেন, ‘ বাংলায় গণতন্ত্রের গলা টিপে হত্যা করা হচ্ছে। ভোটে হেরে যাবেন এই ভয়ে পুরভোট করাননি। ২০১৮ থেকে ১৭ টা পুরসভায় নির্বাচন বাকি, গতবছর থেকে ৯০ টা পুরসভায় নির্বাচন বাকি। তখনতো করোনা ছিলনা, কেন নির্বাচন করাননি?’ তিনি বলেন, ‘ দিদি ২০১৬ য় ইভিএমে জিতেছেন। এখন হঠাৎ ব্যালটে ভোট চাইছেন। ইভিএমে হোক বা ব্যালটে, দুটোতেই হারাবো।’  এদিন হাওড়ায় এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘ বিজেপি রাজ্যে বদল আনবে, বদলাও হবে। রাজ্যে আইনের শাসন নেই। বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, ঘরছাড়া করা হচ্ছে। যাঁরা সরকারের হয়ে অনৈতিক কাজ করছেন, কেউ ছাড় পাবেন না। তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে।’

রাজ্যের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘ রাজ্যে অরাজকতা চলছে। এরাজ্যে আইএস, আইপিএসদের কোন মর্যাদা নেই। এখানে দেশের সংবিধান চলে না, মমতার সংবিধান চলে। সরকারের বিরুদ্ধে গেলে আর রেহাই নেই। আমাদের কর্মীদের খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিচ্ছে। যেসব সাংবাদিক দিদির বিরুদ্ধে লিখছেন তাঁদের চাকরি যাচ্ছে।’ রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য মমতাকেই দায়ি করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘ কেন্দ্রীয় সরকার যখন লকডাউন ঘোষণা করে তখন দিদি লকডাউন মানেননি। ফলে বাংলার করোনা পরিস্থিতি এখন এতো খারাপ। এরজন্য মমতা দিদিই দায়ী।’

বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা এদিন বলেন, ‘ পুলিশকে বিজেপি কর্মীদের পীড়নের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। পুলিশ এখন দলদাস। আমি ওঁদের সতর্ক করছি, যে পুলিশ কর্মীরা সরকারের হয়ে কাজ করছেন তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে। ক্ষমতায় এলে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে।’ মুকুল রায় বলেন, ‘ একুশের নির্বাচনে গণতন্ত্র জিতবে। বাংলা ইতিহাস গড়বে, ২০১৮ য় অতো প্রতিকূলতার মধ্যেও বিজেপি ১৮ টা আসনে জিতেছিল। একুশে পরিবর্তন করে বিজেপি ইতিহাস রচনা করবে।’

Related Articles

Back to top button
Close