পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্ব সমস্যা বিজেপিই মেটাবে… ১০টা শূন্যপদ পূরণের জন্য এক লক্ষ আবেদন পত্র!

দিলীপ ঘোষ: সত্যজিৎ রায়ের অমর সৃষ্টি জনঅরণ্যর এই সংলাপ ৪৪ বছর পর আজও আমাদের কাছে বড্ড প্রাসঙ্গিক। কদিন আগেই সংবাদপত্রে পড়ছিলাম তিন জেলায় ২৩০টি বনসহায়ক পদের জন্য আবেদন পত্র জমা পড়েছে ১ লক্ষ ৩১ হাজার। মানে একটা পদের জন্য ৫৬৯ জন পদপ্রার্থী। মানিকবাবু বিচক্ষণ ছিলেন তাই তিনি এই সমস্যা অনেকদিন আগেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু তৎকালীন কংগ্রেস সরকার বা পরবর্তীকালে বাম সরকার বা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস — কেউই পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্ব সমস্যার সমাধানে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করেনি। তাই গত পঞ্চাশ বছর ধরে আমাদের রাজ্যের সোমনাথদের চাকরির আশায় কোম্পানির দরজায় দরজায় ঘুরে, জুতোর সুকতলা খুইয়ে, হতাশ হয়ে রোজগারের তাগিদে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হয়।
নিয়ম করে কলকারখানার গেটের সামনে ঝান্ডা বেঁধে দিনের পর দিন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আড়ালে হাজার হাজার ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিয়ে সিপিএম সরকার প্রমাণ করেছিল তারা আর যাই করুক না কেন এই শিল্পের প্রসার ঘটিয়ে রাজ্যে যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে না। এই সরকারের আমলে তোলাবাজি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে এই রাজ্যে দেশের শিল্পপতিরা বিনিয়োগ করতে ভয় পান। আর চালু থাকা ফ্যাক্টরি থেকে যদি তৃণমূলের দাদাদের তোলা না দেওয়া হয় তাহলে কারখানার গেটে তালা ঝুলিয়ে দেবে। এই হল তৃণমূলের শিল্পনীতি — হয় কমিশন না হলে অমিশন। যদি কেউ ভেবে থাকে যে ব্রিটিশরা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য এমনি এমনি বাংলাকে বেছেছিল তাদের মনে রাখা উচিত সোনার বাংলার প্রাকৃতিক সম্পদই হোক বা মানুষের শ্রম — শিল্প স্থাপনে বাংলার থেকে উপযুক্ত জায়গা সে সময় আর ছিল না। তাই শিল্পবান্ধব বাংলা ছিল সমৃদ্ধশালী। কিন্তু হুগলি নদীর দুই তীরে দশকের পর দশক ধরে চলতে থাকা সেই সব কারখানাগুলি ধীরে ধীরে শ্মশানে পরিণত হয়েছে যার ফলে পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্ব আজ এক বিভীষিকাময় চেহারা নিয়েছে।
শাক দিয়ে মাছ ঢাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে সরকারিভাবে ঘোষণা করতে হয় যে, দেশের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার ৪০ শতাংশ কমেছে কারণ তাঁর আমলে নাকি প্রচুর ছেলেমেয়ের চাকরি হয়েছে। তিনি এই ঘোষণার সময় যে সংস্থার ডেটা তুলে ধরে এই দাবি করেছিলেন সেই সংস্থার নাম সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি, আর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ওই একই সংস্থার তথ্য অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার ১৪.৯ শতাংশ যা কিনা গোটা দেশের নিরিখে চতুর্থ স্থানে। তাহলে এটা থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের কাছে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য তথ্য চাপা অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। তা সে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যাই হোক বা করোনা রোগীর সংখ্যা, রাজ্যের যুবক-যুবতীদের চাকরি দেওয়ার তথ্য হোক বা নারী নির্যাতনের সংখ্যা — সাধারণ জনগণের কাছে নিজেকে দেবদূত সাজিয়ে রাখার মরিয়া চেষ্টা আজ হাস্যরসে পরিণত হয়েছে সে কথা মাননীয়া কি বুঝতে পারছেন না? রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী তো দাবি করে বলেছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নোবেল প্রাইজ পাওয়া উচিত কারণ পশ্চিমবঙ্গে তিনি যেভাবে বেকারত্ব সমস্যা মিটিয়েছেন তা সারা বিশ্বের কাছে নজির সৃষ্টি করতে পারে। রাজনৈতিক মতাদর্শগত ভাবে অধীরবাবুর সঙ্গে আমাদের ফারাক থাকা সত্ত্বেও আমি ওনার বক্তব্যকে সমর্থন করি। আমার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ, তিনি যেন তাঁর এই অসামান্য আবিষ্কারের ফর্মুলা সবার সামনে তুলে ধরেন তাহলে আমাদের দেশের সঙ্গে সঙ্গে গোটা পৃথিবী বেকারত্ব নির্মূল করতে সফল হবে।
এক সময় আমাদের রাজ্যে অসংখ্য কলকারখানা ছিল যা বাংলায় শিল্পের প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। কিন্তু গত পাঁচ দশকে সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে শ্রমিক, মজদুরদের ভুল বুঝিয়ে জঙ্গি আন্দোলনে সামিল করিয়ে তাদের গরিব বানিয়ে রাখার চক্রান্ত পশ্চিমবঙ্গের বুকে কোটি কোটি বেকার তৈরি করেছে। নতুন নতুন সেক্টরে অন্যান্য রাজ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষের চাকরির সংস্থান হলেও এই রাজ্যে ক্ষুদ্র, মাঝারি, বড় শিল্প বা তথ্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা যায়নি। তাই শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের চাকরির অভাব আজও মেটেনি।
তৃণমূল সরকার যারা মা, মাটি মানুষের সরকার গড়বে বলে অঙ্গীকার করে ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেছিল, তারা বেকার সমস্যা মেটানোর কথা তো দূরে থাক, সরকারি সংস্থায় নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতিকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়ে গোটা ব্যবস্থাটাকেই লাটে তুলে দিয়েছে। স্কুলশিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে যে কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে হলে তৃণমূলের নেতাদের মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতে হয়। আর তাই মেয়ের নাম প্যানেলে না থাকা সত্ত্বেও বাবার তৃণমূলে যোগদানের ঠিক পরেই তার নাম মেরিট লিস্টে এক নম্বর স্থান দখল করে নেয় কিন্তু যোগ্য পদপ্রার্থীদের নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য ২৯ দিন ধরে মহানগরের বুকে অনশন করতে হয়। এই হৃদয়হীন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বা শিক্ষামন্ত্রী অনশনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজন মনে করেননি। যদিও ২৯ দিনের মাথায় আন্দোলনকারীরা সরকারি আশ্বাসে অনশন তুলে নেন কিন্তু আজও তাঁদের সমস্যার কোন সুরাহা হয়নি। রাজ্য শাসনের নাম করে একটা দল সাধারণ মানুষকে তাদের বঞ্চনার শিকার বানিয়ে চলেছে আর প্রশাসন সব কিছু জেনে শুনে শাসক দলের তাঁবেদারি করছে।
এই সরকারের আমলে স্বজনপোষণ এক ভয়াবহ রূপ নিয়েছে তাই সরকারিভাবে ঘোষণা করে বলতে হয় যে, রাজ্যের কোন মিউনিসিপালিটি বা কর্পোরেশনে নিয়োগের ক্ষেত্রে তৃণমূলের নেতার আত্মীয়দের বাদ দেওয়া হবে। এর মানে খুব পরিষ্কার, সরকারি দফতরে নিয়োগের ক্ষেত্রে মারাত্মক বেনিয়ম হয়েছে তাই বিধানসভা ভোটের আগে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এবং নিজেদের পাপ ঢাকতে সরকারিভাবে এই ধরণের ঘোষণা করতে হয়। রামকৃষ্ণ পরমহংস বলেছিলেন লজ্জা, ঘৃণা, ভয় তিন থাকতে নয়। আর যদি সংসার থেকে মুক্তি পেতে হয় তাহলে এই তিনটে জিনিস ত্যাগ করতে হবে। তৃণমূলের নেতারা রামকৃষ্ণদেবকে অনুসরণ করে। একথা অবিশ্বাস্য মনে হলেও তারা উপরোক্ত তিনটে জিনিস ত্যাগ করে নিজেদের মুক্তির পথ প্রশস্ত করেছে। আর তাদের মোক্ষলাভের ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করার জন্য আমরা এই সরকারের পতন ঘটিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আগামী বছর সরকার গড়ব। মতাদৰ্শগতভাবে বিজেপি আর তৃণমূল বিপরীত মেরুতে অবস্থান করলেও ওনাদের প্রতি আমাদের একটা রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা আছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন, ক্ষমতায় আসার তিন মাসের মধ্যেই ৯৯.৯ শতাংশ কাজ তিনি করে ফেলেছিলেন। শুনেছি ২১ দিন একটানা কোন কাজ করলে তা নাকি অভ্যেসে পরিণত হয়। গত ৯ বছর ধরে আরাম করার অভ্যাস বদলানো মুশকিল, তাই তৃণমূলকে ২০২১ সালে নির্বাচনে হারিয়ে ওদের নেতাদের বিশ্রামের স্থায়ী বন্দোবস্ত করার দায়িত্ব আমরাই নিচ্ছি।
আরও পড়ুন:বিজেপির নবান্ন অভিযান : কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি, আটক ৩
বর্তমান শাসক বেকার যুবক-যুবতীদের সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ভোট নিয়েছিল কিন্তু দু-দুবার ক্ষমতায় থাকার পরেও সেই কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বেমালুম ভুলে গেছেন। তাই প্রায় প্রতিদিন কোন না কোন সংগঠনকে চাকুরির দাবিতে মহানগরের রাস্তায় নামতে দেখা যায়। সংখ্যালঘু ভোটের কথা মাথায় রেখে গত কয়েক বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাদ্রাসা স্কুলগুলোতে ঢালাও টাকা বরাদ্দ করেছেন। কিন্তু চলতি বছরের গত ২৯ সেপ্টেম্বর কলকাতায় সেই সব স্কুলের শিক্ষক পদপ্রার্থীদের উপর পুলিশকে দিয়ে হামলা করানো হয় এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে অনেককে গ্রেফতার করা হয়। এর কি কোন ব্যাখ্যা পুলিশমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আছে? তিনি রাজ্যের সমস্ত শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরির ব্যবস্থা না করে তেলেভাজা বা চায়ের দোকান খুলে জীবিকা নির্বাহ করতে পরামর্শ দিয়েছেন। এর থেকে দুর্ভাগ্যের আর কিছু হতে পারে না। তিনি চাকরি প্রদানে নিজের অক্ষমতা ঢাকতে রাজ্যের শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের অপমান করেছেন। এই অধিকার মুখ্যমন্ত্রীকে কে দিয়েছে? তার কি কোন উত্তর তিনি দেবেন? নাকি তিনি মুখ্যমন্ত্রী বলে নিজেকে জবাবদিহি করার উর্ধে বলে মনে করেন? ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না তাই রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে প্রতারণা করেছে তার ফল তাদের ভুগতেই হবে। যে সরকার শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থান দিতে পারে না কিন্তু নিজের দলের ছোট, মেজো, বড়ো নেতাদের রাতারাতি কোটিপতি বানাতে সাহায্য করে তাদের পতন অনিবার্য। শুধু তাই নয়, আজ এই রাজ্যে স্বাধীন মত প্রকাশের সামান্য অধিকারটুকু আমাদের নেই। প্রতিনিয়ত বিরোধী দলের কর্মী ও নেতাদের হত্যা করে তাদের কণ্ঠরোধ করা হয়। আমাদের পার্টির তরুণ নেতা সদ্যপ্রয়াত মণীশ শুক্ল’র মর্মান্তিক হত্যাকান্ড আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে আমাদের এই রাজ্য এক বিভীষিকাময় মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে।
যখন দেশে বেকারত্ব দূরীকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার একের পর এক গঠনমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন তখন আমাদের রাজ্যে সরকারি নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়া স্তব্ধ হয়ে গেছে। মোদিজী আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলে গোটা যুব সম্প্রদায়কে উজ্জীবিত করেছেন। করোনা মহামারীর মতো কঠিন সময়ে তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে সবাই আজ নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে মজবুত করার প্রয়াস করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের মহিলা উদ্যোক্তাদের জন্য স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে ১০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা লোনের ব্যবস্থা করেছে, মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগের মাধ্যমে আজ দেশে বিভিন্ন উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিঙের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক মানুষকে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করা হয়েছে, মুদ্রা যোজনার মাধ্যমে চলতি বছরে ৩৩৭৪৬৫.১৩ কোটি লোন ইতিমধ্যেই অনুমোদন করে দেওয়া হয়েছে। মোদিজীর নেতৃত্বাধীন আমাদের সরকার ইতিমধ্যেই বেকারত্ব দূরীকরণে তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। তাই অনেক সদর্থক পদক্ষেপ নিয়ে এই উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:ধর্ষণের প্রতিবাদে ফুঁসছে পুরো বাংলাদেশ, বিক্ষোভে উত্তাল ঢাকার শাহবাগ
পশ্চিমবঙ্গের বেকার সমস্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আর আমাদের সরকার এর সমাধান খোঁজার ব্যাপারে খুবই আগ্রহী। বেকারত্ব একদিনে তৈরি হয় না তাই রাতারাতি এই পরিবর্তন আনা অসম্ভব। আমাদের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো জাদুদণ্ড নেই যে, এমন জটিল সমস্যার সমাধান তুড়ি মেরে করে দেব। কিন্ত বেকারত্ব দূরীকরণে আমাদের সরকারের গঠনমূলক এবং বাস্তববাদী পরিকল্পনা আছে। তাই আমরা কোন ফাঁকা প্রতিশ্রুতি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের যুব সমাজকে মিথ্যে স্বপ্ন দেখতে চাই না। তবে এইটুকু বলতে পারি, যদি আমরা ক্ষমতায় আসি তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গকে পুনরায় শিল্পবান্ধব রাজ্যে পরিণত করে সেখানে বিপুল বিনোয়োগের মাধ্যমে রাজ্যের যুবকযুবতীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব।
(লেখক রাজ্য বিজেপি সভাপতি ও মেদিনীপুরের সাংসদ)