খানাকুলের বিজেপি কর্মী খুন, ১২ ঘন্টা বন্ধ
গোপাল রায়, আরামবাগ: জাতীয় পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল আরামবাগের খানাকুল ২ ব্লকের নতিবপুর এলাকা। তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে ১ বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হল। মৃত বিজেপি কর্মীর নাম সুদর্শন প্রামাণিক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবারে বিজেপি কর্মীরা স্বাধীনতা দিবস পালন করার জন্য জড়ো হয়। পতাকা উত্তোলন করার সময় বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী সমর্থক বিজেপি কর্মীদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ধারালো অস্ত্র সহ অন্যান্য সরঞ্জাম দিয়ে সুদাম প্রামানিককে মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।
আহত বিজেপি সমর্থককে নতিবপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপরেই উত্তেজিত বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায়।
[আরও পড়ুন- ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে বিজেপি কর্মী-নেতাদের ওপর লাঠি চালানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে]
বিজেপি কর্মীরা আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে যায় আরামবাগ গৌরহাটি মোরে। সেখানে মৃতদেহ রেখে পথ অবরোধ করে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার নেতা সৌমিত্র খাঁ ও আরামবাগ জেলা সাংগঠনিক সভাপতি বিমান ঘোষ। রবিবার ১২ ঘন্টা খানাকুল বন্ধের ডাক দেয় বিজেপি। রবিবার সকাল থেকে বিজেপির ডাকা বন্ধে স্তব্ধ হয়ে যায় খানাকুল।
রবিবার ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ আহত হয় দুই পক্ষের বেশকয়েকজন। রবিবার সকাল থেকে খানাকুল বিভিন্ন এলাকায় ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কিছু জায়গায় বোমাবাজি সহ মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধরের ঘটনায় মোট ১০ জন আহত হয়। এদিন সকালে বিভিন্ন জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে খানাকুলের বিভিন্ন জায়গায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। খানাকুলের চিংড়া, জিকিরিয়া, তাঁতিশাল এলাকাগুলি ব্যাপক বোমাবাজি হয়। মারধর করা হয় বিজেপি কর্মীদের। অন্যদিকে খানাকুল ১ পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। থমথমে খানাকুলের পরিবেশ। এলাকায় চলছে পুলিশ টহল।