
অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: বহিরাগত শব্দের অপব্যাখ্যা করছে বিজেপি। তোপ দাগলেন রাজ্যের প্রযুক্তিমন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি। ব্রাত্য বলেন, ‘বহিরাগত শব্দটা বিজেপি ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করছে।’ আসলে একুশের নির্বাচনে আগেই এ রাজ্যে শাসক দলের ওপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে বিজেপি। একের পর এক কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে আনা হয়েছে এ রাজ্যের দায়িত্বে। তাদেরকে বহিরাগত বলে দাবি করে বিজেপির ওপর পালটা চাপ বাড়াতে থাকে তৃণমূল। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে আবারো বিজেপিকে বিঁধলেন ব্রাত্য বসু।
এদিন ব্রাত্য বসু দাবি করেন এরাজ্যে অবাঙ্গালীদের সমান সমাদর করা হয়। এপ্রসঙে তিনি বলেন, ‘বাঙালি-অবাঙালি সবাইকে স্বাগত পশ্চিমবঙ্গে। এরজ্যের উন্নয়নে অবাঙালিদের বিশেষ অবদান আছে। জ্ঞান সিং সোহন পাল বা বিড়লা বা গোয়েনকা এরা সকলেই উত্তম বাংলা বলতে পারেন। বাংলা ভাষাভাষী একজন মানুষকে জাতিগতভাবে চেনার আদর্শ মাধ্যম ভাষা।’
শুরু থেকেই তৃণমূল কেন্দ্রিয় পর্যবেক্ষকদের বহিরাগত বলে দাবি করতে থেকে। এদিন ব্রাত্যর গলাতেও একই সুর। তিনি বলেন, ‘ বিজেপি গুলিয়ে দিলে হবে না। এ রাজ্যের অবাঙলিরা ভালই আছেন। এরা ভালোই বাংলা বলেন। কিন্ত বাইরে থেকে যে হানাদার পাঠানো হচ্ছে, তারা বাংলা বলতে গেলে ভয় পায়। আমি এদের কথা বলছি। এরা যারা বাইরে থেকে এসেছেন। বাঙালি-অবাঙালি নয়। এখানে যাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পাঠানো হচ্ছে। যারা বাংলা জানেনা। যখন গণমাধ্যমে মানুষের সামনে বলেন একটিও বাংলা শব্দ শোনা যায় না। তাদের আমরা বহিরাগত বলেছি।’
বিজেপিকে বাঙালি বিদ্বেষী দল বলে অভিযোগ করেন ব্রাত্য বসু। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক ভাষা বলতে না পারলে ভূমিপূত্রারা ঠিকভাবে নেবেনা। নির্বাচনের জন্য বাংলাকে দশ ভাগে ভাগ করেছে, সেখানে ভূমিপুত্র নেই। বিহারের নির্বাচনে ৮ থেকে ১০ ভাগে ভাগ করা হয়েছিল, সেখানেও বাঙালি পাঠাতে দেখেছেন?’ প্রশ্ন তুলে প্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, ‘ বিজেপির এত বাঙালি বিদ্বেষ কেন? বাঙালিকে এত অপমান কেন? বাঙালি নিরামিষ নয় মাংস খায় বলে? ওরা মাছ মাংশ খাবনা বলে এবার কি তাও বন্ধ করবেন এখানে? সমস্যা কোথায়? মাছ খাওয়া বাঙালিকে কি ওদের পছন্দ নয়?’