প্যারিসে কৃষ্ণাঙ্গকে মারধর, সাসপেন্ড পুলিশ অফিসার

প্যারিসঃ আমেরিকার পর এবার বর্ণবৈষম্যের ছায়া ফ্রান্সে। ফ্লয়েড কাণ্ডের পর এবার প্যারিসে পুলিশের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন কৃষ্ণাঙ্গ সংগীত প্রযোজক মাইকেল। আর এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর ফ্রান্সে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন, অভিযুক্ত তিন পুলিশ অফিসারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। কিন্তু তারপরেও বিক্ষোভ থামেনি। বয়ে চলেছে সমালোচনার ঝড়। এদিকে, ফ্রান্সে ‘কৃষ্ণাঙ্গ নির্যাতনের’ বিরুদ্ধে অনলাইন বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন ফরাসি ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পে। তিনি মাইকেল নামের ওই প্রযোজকের রক্তাক্ত মুখের ছবি টুইটারে প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘অসহনীয় ভিডিও, অগ্রহণযোগ্য সহিংসতা। বর্ণবাদকে না বলুন।’
বৃহস্পতিবার ‘লুপসাইডার’ নামে এক ফরাসি নিউজ পোর্টাল একটি ভিডিও প্রকাশ করে। সেখান দেখা যায়, প্যারিসের একটি জায়গায় মাস্ক না পরার জন্য মাইকেল নামের এক মিউজিক প্রডিউসারকে বলপূর্বক তাঁর স্টুডিওতে ঢুকে গ্রেপ্তার করে একদল পুলিশ। স্টুডিওর ভিতরে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, মাইকেলকে প্রচণ্ডভাবে লাথি, ঘুষি মারছেন পুলিশকর্মীরা। এই ঘটনার পর মাইকেল অভিযোগ করেন, মারধরের পাশাপাশি তিনি বর্ণবৈষম্যের শিকার হন। তাঁকে আটক করে সহিংসতার অভিযোগ আনা হয়।
এদিকে, গত সোমবার প্যারিসের একটি অস্থায়ী শরণার্থী শিবির ভেঙে দেয় পুলিশ। সেসময় পুলিশের বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা কোনো ঘটনায় বিচারের মুখোমুখি হলে তা গণমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধের বিষয়ে সম্প্রতি একটি আইন আনার চেষ্টা করছে ফ্রান্স। এমন সময়ই নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের ঘটনা সামনে আসছে।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে মিনেসোটার রাস্তায় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে মাটিতে ফেলে মারধরের পর হাঁটু দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ ওঠে এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে প্রায় গোটা বিশ্বে। আমেরিকার গণ্ডি পেরিয়ে ফ্রান্স, জার্মানি, ইংল্যান্ডেও ছড়িয়ে পড়ে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ বিক্ষোভ। এবার ফরাসি পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের ‘নিপীড়ন’ নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ বাড়ছে ম্যাক্রঁ ক্যাবিনেটে।