আইএসের হামলায় রক্তাক্ত কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়, দেশজুড়ে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক

কাবুল, সংবাদ সংস্থা: সন্ত্রাসবাদীদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না আফগানিস্থানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। বাইরে নয়, রক্তের সন্ধানে একেবারে ভিতরে ঢুকে পড়েছে তারা। সোমবার সকালে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে নিরিহ ২২ জনকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সেকথাই জানান দিচ্ছে। যেখানে আহতের সংখ্যা দাড়িয়েছে অসংখ্য। এরপরে আফগান সরকার ঘোষণা অনুযায়ী রক্তক্ষয়ী এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশে আজ একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হয়েছে। এদিকে, প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ‘এ হামলার কয়েক গুণ প্রতিশোধ’ গ্রহণ করার হুমকি দিয়েছেন।
কি ঘটেছিল সোমবার? এপ্রসঙ্গে আফগান উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হামিদ ওবাইদি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি ইরানি বইমেলা উদ্বোধনের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের প্রবেশ করার সময় বন্দুকধারীরা সেখানে হামলা চালায়। আফগান পুলিশ সূত্রে খবর, হামলাকারীরা তিনজন ছিল, যাদের মধ্যে একজনের দেহে বিস্ফোরক ভর্তি বেল্ট বাঁধা ছিল। হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, প্রথমে বিস্ফোরকভর্তি বেল্ট পরিহিত ব্যক্তি নিজের শরীর থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর বাকি দুই বন্দুকধারী এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। ফলে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এবং ছাত্র-শিক্ষকরা প্রাণ বাঁচাতে চারিদিকে ছুটতে থাকেন।
সূত্রের খবর, হামলার সময় ক্যাম্পাসে প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। একজন সরকারি আধিকারিক স্যোসাল মিডিয়ায় কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে, ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের লাশ পড়ে আছে এবং তাদের লাশের কাছে তাদের বইপত্র এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে। এভাবে প্রায় ছয় ঘণ্টা তাণ্ডব চলার পর আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ওই দুই বন্দুকধারী নিহত হলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির অবসান হয়। তবে, এই ঘটনার পর আফগানিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগের মারাত্মক দুর্বলতা ফুটে উঠেছে।