বগটুই কাণ্ডঃ আহতদের বয়ান রেকর্ড করল সিবিআই

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্কঃ বগটুই গ্রামে হাইকোর্টের নির্দেশের পর থেকে অতি সক্রিয় সিবিআই। আজ তদন্তের দ্বিতীয় দিনেও সকাল থেকেই চলছে তথ্য সংগ্রহের কাজ। আজ বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করলেন সিবিআই আধিকারিকরা৷ ঘটনার পর থেকেই গ্রাম ছাড়া বহু মানুষ। প্রতি মুহূর্তেই মৃত্যুভয় তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাদের। বাড়িগুলি প্রায় পুরুষশূন্য। গত ২১ মার্চ রাতে কী ঘটেছিল তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা৷ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কেউ আছেন কি না, সেই খোঁজও শুরু করেছেন সিবিআই কর্তারা। ঘটনায় যাঁরা আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাঁদেরও বয়ান সংগ্রহের কাজ শুরু করল সিবিআই৷ এ দিন সকালেই আহতদের বয়ান সংগ্রহ করতে রামপুরহাট হাসপাতালে যায় সিবিআই-এর একটি দল৷
গতকাল যে বাড়ি থেকে সাতটি অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়, সেখানে গিয়ে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের কাজ শুরু করেন সিবিআই আধিকারিকরা৷ ছিলেন ফরেনসিক আধিকারিকরা। রক্তের দাগ, সিড়ি, ঘরের উপর-নীচ, আশেপাশে প্রতিটি কোনা খুঁটিয়ে দেখেন তারা। তদন্তে ব্যবহার করা হচ্ছে থ্রি-ডি স্ক্যানার। কিভাবে আগুন লাগানো হয়েছিল, বোমা ছুড়ে না ঘরের বাইরে থেকে তা উঠে আসবে এই স্ক্যানারে। এ দিনও বগটুই গ্রামের ওই অভিশপ্ত বাড়ির ছাদে উঠে থ্রি ডি স্ক্যানারের সাহায্যে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেন সিবিআই কর্তারা৷ঘটনাস্থলে সিবিআই আধিকারিকরা ছাড়াও রয়েছেন কেন্দ্রীয় ফরেনসিক দল, রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরা। প্রতিটি অবস্থার ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। মূলত মিহিরলাল শেখ, বাণীরুল শেখ, সোনা শেখের বাড়ি বার বার ঘুরে দেখছেন তারা।
বাড়ির সামনে একটি সিড়ি রয়েছে। সেই সিড়িতে রয়েছে কিছু ড্রাম। সেখানে রয়েছে তরল পদার্থ। সেটি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। পর্দার রড পরীক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়া রান্নাঘরে যে গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে, সেটির খোঁজ মিলছে না। তবে রেগুলেটর পাইপ সব রয়েছে। তাও দেখা হয়েছে। রামপুরহাট থানার দুই পুলিশ অফিসারকে ডেকে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে দিল্লির ঊর্ধবতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন সিবিআই আধিকারিকরা।