জগদ্দলে বিজেপির দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে বোমাবাজি, চাঞ্চল্য
অলোক কুমার ঘোষ, ব্যারাকপুর: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের শিলান্যাস অনুষ্ঠানের শেষে বুধবার গভীর রাতে বিজেপির দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে বোমা মারার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল থানা এলাকায়। জগদ্দলের আটচালা বাগান রোডে বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগাঠনিক জেলা সভাপতি উমা শংকর সিংয়ের বাড়ির সামনে অবস্থিত জগদ্দল মণ্ডল বিজেপির দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে বুধবার গভীর রাতে বোমা ছোড়ে এক দল দুষ্কৃতী। রাতে বোমা ফাটার শব্দে ছুটে আসেন বিজিপি নেতা উমা শংকর বাবু সহ আশেপাশের এলাকার বাসিন্দারা।তারা ঘটনাস্থলে এসে দেখেন বোমার ঘায়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিজেপির ওই দলীয় কার্যালয়টি। এরপর জগদ্দল থানায় খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে জগদ্দল থানার পুলিশ। বিজেপির কার্যালয়ে বোমা মারার ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে ।
বিজিপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উমা শংকর সিং এই বোমাবাজির ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার অযোধ্যায় রাম মন্দিরের শিলান্যাস করেছেন আর সারা দেশে বিজিপি কর্মীরাও এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে শঙ্খ বাজিয়ে, দ্বীপ জ্বালিয়ে এই দিনটি আনন্দের সাথে পালন করেছেন। শুধু বিজিপি কর্মীরাই নন এদিন রাম মন্দিরের শিলান্যাস ঘিরে সাধারন মানুষের মধ্যে ও প্রচুর উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে এই জগদ্দল, ভাটপাড়া এলাকায়। আর তাই তৃণমূল ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাদের দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে বোম মেরেছে।”
তবে তৃনমূলের বিরুদ্ধে বিজিপির আনা এই অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন,” তৃণমূল, বিজিপি কেন, কোন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে বোমা মারার ঘটনাকে সমর্থন করে না। এই ঘটনা তৃণমূল ঘটায় নি , প্রশাসন তদন্ত করছে । আমাদের বিশ্বাস যারা এই কাজ করেছে তাদের ঠিক খুঁজে বার করবে প্রশাসন। এই বোমা মারার ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে সেটা ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ির কাছে। সুতরাং সেখানে অন্যদলের লোক গিয়ে এই ধরনের কাজ করতেই পারবে না। এটা অসম্ভব । আমাদের আশা পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে এই ঘটনার সাথে জড়িত আসল দুষ্কৃতীদের অবশ্য খুজেঁ বার করবে।” গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বোমা মারার ঘটনায় দুষ্কৃতীদের খুঁজছে পুলিশ।