বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় হলফনামা তলব হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদ এবং রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর এই তিন পক্ষকে বিস্তারিত রিপোর্ট হলফনামা আকারে পেশ করতে হবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার রাধাকৃষ্ণণ ও বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চে।
মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ সেপ্টেম্বর।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার মাঠ ঘিরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্ত মতো গত ১৭ আগস্ট শুরু হয় নির্মাণকাজও। যাকে কেন্দ্র করে মূলত রণক্ষেত্র চেহারা নেয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাধের শান্তিনিকেতন। ভেঙে ফেলা হয় দীর্ঘদিনের প্রাচীন বিশ্বভারতীর গেটও। ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকেও ভাঙচুর চলে। যা নিয়ে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার।
এদিন আদালতে সেই মামলার শুনানিতে, কিভাবে বহিরাগতরা বিশ্বভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকে ভাংচুর চালাল ? এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা কি ছিল?
তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রমাপ্রসাদ বাবু।
তাঁর দাবি, শান্তিনিকেতনে যে ঘটনা ঘটেছে রাজ্য তথা দেশের জন্য তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ যাতে নির্বিঘ্নে করা যায় তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হোক। এর আগেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের ঢুকে হামলা চালানোর ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশিকা ছিল, বহিরাগতরা ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকতে পারবে না। সেখানে ক্যাম্পাসে ঢুকে যখন বহিরাগতরা ভাঙচুর চালায় !
এছাড়াও পরিবেশ আদালতের নির্দেশিকা রয়েছে পৌষ মেলা সংক্রান্ত বিষয়ে বিশ্বভারতী যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই মতই কাজ হবে। তারপরও কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো? তার জন্য রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থা না রেখে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন আইনজীবী।
পাশাপাশি, গোটা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নিরাপত্তার জন্য যে ব্যবস্থা আছে সেখানেও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সিআইএসএফ নিয়োগ করার আবেদন জানানো হয়েছে মামলায়। এবং ক্যাম্পাসের আবাসিক ছাড়া যাতে বহিরাগতদের ঢুকতে না দেওয়া হয় সেই আবেদন জানানো হয়েছে।