গরু পাচার মামলায় জেলে বন্দি এনামুল হক ও সতীশ কুমারকে জেরা CBI-এর

শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোল: আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগার বা জেলে রয়েছে গরু পাচার কান্ডে ধৃত এনামুল হক ও বিসিএফের কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার। আসানসোল জেলে এসে এই দুজনকে সোমবার দু’ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা জেরা করেন। যদিও জেল সূত্র থেকে জানা গেছে, তাদের দুজনকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা সিবিআইয়ের অফিসাররা করেননি।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কলকাতায় সিবিআই তদন্তকারী অফিসাররা বিএসএফের চার আধিকারিক ও রাজ্য পুলিশের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে ঠিক ছিল। তাই তার আগেই আসানসোল জেলে থাকা এনামুল হক ও সতীশ কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করে মঙ্গলবার কলকাতায় পৌঁছে যান সিবিআইয়ের অফিসাররা। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকালে এনামুল হক আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে গরু পাচার, অপরাধ ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আত্মসমর্পণ করেছিলো। সিবিআই তাকে নিজেদের হেফাজতে না চাওয়ায় আদালতের বিচারক তার জামিন নাকচ করে আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে ১৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়ে পাঠান। ঐ দিনই একইসঙ্গে সতীশ কুমারকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন নাকচ করে ১১ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন। সিবিআইয়ের কাছে এনামুলের সঙ্গে এই সতীশ কুমারের গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিলো।
জানা যায়, সোমবার সিবিআইয়ের দুই আধিকারিক সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত অনুমতি চান তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। আদালতের বিচারক সেই অনুমতি দেন। পরে বিকেলের দিকে আসানসোল জেলে এসে তারা দু’ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তাদেরকে জেরা করেন। প্রথমে তারা এনামুলকে আলাদা একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। সেখানে এনামুল তাদের করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে যথেষ্ট উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এই মামলায় এই প্রথম সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লো এনামুল হক । তাকে গত শুক্রবার এনামুল হক যখন আসানসোলের সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিল তখন সিবিআইের আইনজীবীরা তার জামিনের বিরোধিতা করে জেল হেফাজত চেয়েছিলেন। তখন এনামুলের আইনজীবীরা নানা যুক্তি দেখিয়ে তার বিরোধিতা করেছিলেন । এনামুল ও সতীশ কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যেসব নতুন তথ্য সিবিআইয়ের হাতে এসেছে তা আগামী দিনে সিবিআইয়ের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেকটাই সাহায্য করবে বলে তারা মনে করছে ।