
অভীক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: বহুদিন চুপচাপ থাকার পর ফের গরুপাচার কাণ্ডে জারি সিবিআই তল্লাশি। বৃহস্পতিবার মানিকতলা মেন রোডে একটি অভিজাত আবাসনের ১৪ তলায় নির্মাণ ব্যবসায়ীর হানা দেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। একই সঙ্গে আরও ৪ জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়।
এর আগেই বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার-সহ আরও বেশ কয়েকজন আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। জানা যায়, গরু পাচারের টাকা বিভিন্ন ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করা হয়েছিল। টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল, রাজন পোদ্দার নামে এক ব্যবসায়ীর নামে যিনি ৭ টি সংস্থার ডিরেক্টর। তার মধ্যে পূর্ব কলকাতার একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি রয়েছে এবং উত্তরবঙ্গের একটি সংস্থাও রয়েছে। তাকে নির্মাণ ব্যবসায়ী হিসেবেই লোকজন চেনে। পাচার সিন্ডিকেটের পান্ডা এনামুল হকের সঙ্গে রাজনের ব্যবসায়িক যোগ পাওয়া গিয়েছে।
এর আগে সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সিবিআই এনামুল হক, সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এক কমান্ডান্ট, তাঁর ছেলে-সহ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর একাধিক আধিকারিক এবং শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর একাধিক পদস্থ আধিকারিক এনামুলের কাছ থেকে বিপুল অর্থ ঘুষ নিয়ে বেআইনি গবাদি পশু পাচারের কারবারে সহযোগিতা করেছেন, এমনটাই তদন্তে উঠে এসেছিল।
সেই ঘটনার তদন্তেই শুরু হয় এদিনের তল্লাশি। কাকতালীয় ভাবে এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর থাকায় যোগসূত্র টেনেছেন শাসক দলের অনেকেই। তবে তা মানতে নারাজ সিবিআই আধিকারিকরা। তল্লাশি সম্পর্কিত তথ্য নিয়েও কেউ কিছু বলতে চাননি।