রাজ্যের উন্নয়নে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি : বিধায়ক আশীষ কুমার বিশ্বাস
শ্যামল কান্তি বিশ্বাস, রানাঘাট : রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি, অন্যথায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে অগ্ৰগতি।যার ফলশ্রুতি স্বরূপ, বঞ্চিত হতে পারেন রাজ্যের জনগন,অভিমত কৃষ্ণগঞ্জ সংরক্ষিত বিধান সভা কেন্দ্রের বিধায়ক আশীষ কুমার বিশ্বাসের। কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়নে রাজ্যগুলির প্রতি সম মনোভাবাপন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রাখলে ও রাজ্যের তৃণমূল কং সরকার তাদের সঙ্কিরনো রাজনৈতিক পরিমণ্ডল থেকে কিছুতেই বেড়িয়ে আসতে পারছে না,ফলে প্রতি পদক্ষেপে মতবিরোধ সহ নানাবিদ সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে উঠেছে।
একজন বিধায়ক হয়েও নিজেকে বড় অসহায় মনে হচ্ছে, শুধু মাত্র রাজ্য তৃণমূল সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য। জনপ্রতিনিধি হওয়া সত্বেও দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়াতে চাওয়া সত্বেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আমরা বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধি বলে বিভিন্ন অজুহাত কে সামনে এনে আমাদের কে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা স্বাধীন ভাবে কিছু করতে পারছি না। একটি রাজনৈতিক দল ও তাদের নেতৃত্ব কতটা সংকীর্ণ মনোভাবাপন্ন ও নিচ্ মানসিকতার হলে এই ধরনের অভিব্যক্তির বহিঃ প্রকাশ ঘটতে পারে। ভুলে গেলে চলবে না,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন ব্যক্তি কিংবা দল বিশেষের মুখ্যমন্ত্রী নন, তিনি সমগ্ৰ রাজ্য বাসীর মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মৃত শ্রমিকদের শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি এস ইউ সি আই এর
সেই দায়িত্ব ও কর্তব্য বোধ থেকে সম্ভবত মাঝে মধ্যেই নিজেকে বিচ্যুতি ঘটিয়ে ফেলেন,ভূলে যান তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মমতা ব্যানার্জি কে উদ্দেশ্য করে এই অভিযোগ আশীষ বাবুর। ত্রাণ বিতরণে বাঁধা, বিধায়ক কোটা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে অনুদান স্বরূপ চিকিৎসা বিষয়ক সামগ্রী কিনে দিতে চাওয়া সত্বে ও নেওয়ার ক্ষেত্রে অসন্মতি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জনসংযোগ রক্ষার্থে পথে নামতে বাঁধা কিন্তু শাসক তৃণমূল দলের জনপ্রতিনিধি দের ক্ষেত্রে কোন নিয়ম নীতি মানার বালাই নেই, ওদের সব ক্ষেত্রে সাত খুন মাফ। আমরা কোন্ রাজ্যে বাস করি! আক্ষেপ বিধায়ক আশীষ কুমার বিশ্বাসের।