নিউ জার্সির মিতার দানে চণ্ডীপুরের মায়েদের হাসি

ভাস্করব্রত পতি, তমলুক : আজ তিনি হয়তো পেশার প্রয়োজনে অনেক দূরে। কিন্তু ছোটবেলার খেলার মাঠ, পুকুর ঘাট, বাঁশবন, গ্রামের মানুষজনকে আজও ভোলা সম্ভব হয়নি তাঁর। তিনি মিতা মাইতি। আমেরিকা’র নিউ জার্সিতে প্রবাসী বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত।
পরবাসে থেকেও ভোলনেনি তাঁর দায়িত্ব-কর্তব্য। করোনা অতিমারী, আমফান বিধ্বস্ত অবস্থাতে তিনি তাঁর সাধ্য অনুযায়ী এতদঞ্চলের প্রান্তিক মানুষদের পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছেন নানা ভাবে। পূর্ব মেদিনীপুরের চন্ডীপুরের মানুষ যখনই বিপদের সম্মুখীন হয়েছে তখনই তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এলাকার একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাত ধরে।
ছোটবেলাটা কেটেছে এই চণ্ডীপুর ব্লকের কাণ্ডপশরা গ্রামে। খুব কাছ থেকে দেখেছেন তাঁর গ্রামের মানুষের দুঃখ কষ্ট। বর্তমানেও তিনি ভেবেছেন এলাকার প্রান্তিক মা’য়েরা যাতে স্বাবলম্বী হয় তার জন্য কিভাবে সাহায্য করা যায়। সেই উদ্দেশ্যে আজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘চলো পাল্টাই’- কে পাশে নিয়ে চণ্ডীপুরে এলাকার সেলাইয়ের ট্রেনিংপ্রাপ্ত প্রান্তিক মা’য়েদের হাতে তুলে দেওয়া হল সেলাই মেশিন। তুলে দিলেন চণ্ডীপুর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অভিষেক দাস। উপস্থিত ছিলেন ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠনের সহ সভাপতি অরুণাংশু প্রধান, সম্পাদক মতিলাল দাস, সেনা সর্বাধিনায়ক মধুসূদন পড়ুয়া, চণ্ডীপুর রবীন্দ্র পরিষদের সম্পাদক প্রতীক জানা প্রমুখ।
বিডিও বলেন, মিতা মাইতি এলাকার মানুষদের জন্য নানা সময়ে নানান ভাবে কাজ করে চলেছেন। তাঁর এই ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আজকের এই কর্মসূচিতে যাঁরা সেলাই মেশিন পেলেন তাঁরা ভীষণই খুশি এই সহযোগিতা পেয়ে। অন্যভাবে বাঁচার রশদ মিললো বলে জানান তাঁরা।