দাবি মতো পণ না দেওয়ার মাশুল! আরও টাকার নেশায় স্ত্রীকে দেহ ব্যবসায় নামালো স্বামী

শ্যাম বিশ্বাস, উওর ২৪ পরগনা: নববধূকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। বসিরহাট মহকুমা হাড়োয়া থানার শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আন্দুলিয়া গ্রামের ঘটনা। একমাস আগে বিয়ে হয় আন্দুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা তিমির ঘোষের (নাম পরিবর্তিত) সঙ্গে বকজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম ভয়দা গ্রামের কুড়ি বছরের যুবতীর। বিয়ের সময় ৫ লক্ষ টাকা পণ নেয় তিমির।
বিয়ের পর থেকেই স্বামী তিমিরের সঙ্গে টাকা নিয়ে অশান্তি শুরু হয়। স্ত্রীকে তার বাপের বাড়ি থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা এবং আরও তিন ভরি সোনা নিয়ে আসতে হবে বলে চাপ দিতে থাকে তিমির।
সেই প্রস্তাবে ওই গৃহবধূ জানায়, বাবা ফুচকা বিক্রি করে রোজগার করেন। এত গরীব ঘরে এত টাকা পাবে কোথায়। তারপর স্বামী ছক করে নববধূকে দিয়ে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামায় বলে অভিযোগ। দেহব্যবসা করানোর জন্য বেশ কয়েকবার স্ত্রীকে কলকাতার কয়েকটি বারেও নিয়ে যায় তিমির। এরপরেও চলত অত্যাচার। প্রতিদিন রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে এসে স্ত্রীকে মারধর করা ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। এখানেই শেষ নয় স্ত্রীর ঘরে তার নিজের বন্ধুদের ঢুকিয়ে মোটা টাকা রোজগার করত।
আরও পড়ুন:শ্রীকৃষ্ণের অবতার নরেন্দ্র মোদি, টুইটে প্রশস্তি তথাগত রায়ের
ইতিমধ্যে হাড়োয়া থানায় নির্যাতিতা বধূ অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্বামী তিমির এই কথা জানতে পেরে গৃহবধূকে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ভাবে খুনের হুমকি দিতে থাকে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হাড়োয়া থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগের পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত। এদিকে স্বামীর মারের আঘাতে জখম বধূর চিকিৎসা চলছে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে।